1. almasbepary52@gmail.com : Almas Bepary : Almas Bepary
  2. musafirmostofa2@gmail.com : Nazmul Hossain : Nazmul Hossain
  3. rajkutir17@gmail.com : Abu Sayed : Abu Sayed
  4. admin@ajkalbd.news : Admin : Admin
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ব্রেকিং নিউজ:

যুক্তরাষ্ট্রে আরো এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা: মিনিয়াপোলিসের কাছে ব্যাপক বিক্ষোভ, ব্রুকলিন সেন্টার শহরে কারফিউ

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

রোববার রাতে ব্রুকলিন সেন্টারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষোপ।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরের কাছে আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করার পর বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং ব্রুকলিন সেন্টার শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিশ-বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম ডন্টে রাইট।
ব্রুকলিন সেন্টারের মেয়র কারফিউ জারি করে বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন।
জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির হত্যার দায়ে এক পুলিশ অফিসারের বিচার নিয়ে মিনিয়াপোলিস এমনিতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে।
বিক্ষোভের যেভাবে শুরু
ব্রুকলিন সেন্টারের পুলিশ সদর দফতরের বাইরে রোববার শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ডন্টে রাইটের নামে স্লোগান দিতে থাকে।
লন্ডনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ: বর্ণবাদের যাতাকলে ৩০ বছর
ব্রিটেনে বর্ণবাদ: ‘শতভাগ শ্বেতাঙ্গ শহরে ছিলাম আমি এক কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে’
বর্ণবাদী ইঙ্গিতের জন্য এয়ার চায়নার ক্ষমা প্রার্থনা
বড় শহর মিনিয়াপোলিস থেকে জায়গাটি মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিচ্ছে, এরপর দাঙ্গা পুলিশ রাস্তায় নামলে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং জনতা পুলিশের দুটি গাড়ির ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
প্রতিবাদকারীরা সে সময় ডন্টে রাইটের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় কিছু দোকানপাটে লুঠপাট শুরু হলে মেয়র শহরে কারফিউ জারি করেন।
উত্তপ্ত পরিস্থিতি
বিবিসির সাংবাদিক স্যামান্থা গ্র্যানভিল ব্রুকলিন সেন্টার থেকে জানাচ্ছেন, বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সদস্যরা সদর দফতরের বাইরে ব্যারিকেড তৈরি করেন। তাদের পরনে ছিল দাঙ্গা পুলিশের পোশাক । ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ বিভাগের বাইরে হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণবাদ-বিরোধী প্রতিবাদ।
শত শত বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টায় একটু একটু করে এগুতে তাকে এবং স্লোগান দিতে থাকে: “বিচার না পেলে আমরা শান্তিও পাব না।”
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন ডন্টে রাইটের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব।
কী ঘটেছিল ডন্টে রাইটের?
এক বিবৃতিতে ব্রুকলিন সেন্টারের পুলিশ বিভাগ জানাচ্ছে, রোববার বিকেলে ডন্টে রাইট ট্রাফিক আইন অমান্য করার পর পুলিশ তার গাড়িকে থামায়। এ সময় পুলিশ জানতে পারে তার নামে আগে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
যখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চায় তিনি তখন আবার গাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েন। এসময় পুলিশ তার ওপর গুলি চালায়।
এর পরও তিনি গাড়ি চালিয়ে কিছু দূর গিয়ে আরেকটি গাড়ির সাথে ধাক্কা মারেন। এরপর ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তার সাথে থাকার একজন যাত্রীর গায়েও আঘাত লেগেছে। তবে কোন প্রাণ সঙ্কট নেই।
মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার প্রধান আসামী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিচার গত দু‌’সপ্তাহ ধরে চলছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে মি. শভিন নয় মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু চেপে বসেছিলেন।
এই দৃশ্য দেখার পর বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
শভিনের বিচার আরও এক মাস ধরে চরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবং রায় ঘোষণার সময় আরও গোলযোগ হতে পারে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright: 2020 -2023 “দৈনিক আজকাল” রাজ কুঠির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
Design By Fahim Mahmud