দীর্ঘদিন যাবৎ মাদারীপুরের কালকিনি-বঁাশগাড়ী সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এ সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার জুরে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।
সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে এসব সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আবার রোদের সময় ধুলাবালুর কারণে চোখ-মুখ বন্ধ করে চলতে হয়।
ফলে প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজার-হাজার মানুষ। এদিকে বেহাল সড়কের কারণে রোগী পরিবহনেও মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন স্বজনরা।
এজন্য দ্র“ত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, কালকিনি-বঁাশগাড়ীর সড়ক দিয়ে উপজেলার বঁাশগাড়ী, পূর্ব এনায়েতনগর, এনায়েতরগর ও শিকারমঙ্গলসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার-হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।
জন গুরুত্বপূর্ন এ সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার জুরে কোথাও কোথাও বিটুমিনের কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কাথাও সড়ক ধসে পড়েছে। খানাখন্দের কারণে এ সড়কের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে এসব সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
আবার রোদের সময় ধুলাবালুর কারণে চোখ-মুখ বন্ধ করে চলতে হয়। ফলে প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজার-হাজার মানুষ। আর রোগী পরিবহনেও মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন স্বজনরা।
এজন্য দ্র“ত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ সড়কের ব্যবসায়ী নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘সারা দিন ধুলো খেয়ে মরলাম।
ধুলো থেকে বাঁচার জন্য সারা দিনই দোকানের সামনে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হয়। রাস্তা খারাপের জন্য চলাচলেও অনেক সমস্যা হয়।
ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক চালক মোঃ খলিল মুন্সি বলেন, ১৫ মিনিটের রাস্তা এখন আমাদের যেতে প্রায় দুইঘন্টা সময় লাগে।
নিয়মিত যাতায়াতকারী আবদুস সালাম বেপারী বলেন, বেহাল অবস্থার কারণে এখন অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। সময় ও টাকা বেশি লাগছে।থ
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম বলেন, কালকিনি-বঁাশগাড়ী সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
Leave a Reply