টানা তৃতীয় সপ্তাহে এসেও সূচক ও লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই।রোববার (০৯ আগস্ট) ১শ’ ৮০ পয়েন্ট যোগ হয়ে প্রধান সূচক দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫শ’ ৪৫ এ। গত দুই সপ্তাহে টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ডিএসই-এক্সে যোগ হয়েছে ২শ’ ৮৩ পয়েন্ট। লেনদেনও দিন দিন বাড়তে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৮শ’ ৩৬ কোটি টাকা। যা গেলো সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে রেকর্ড। প্রধানসূচক ডিএসই-এক্সও ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান নেয় ৪ হাজার ৩শ’ ৬৪ পয়েন্টে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৯ আগস্ট) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের শুরু থেকেই সূচক বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে লেনদেনের গতিও। এদিন ডিএসইতে টাকার অংকে হাতবদল হয় ১১শ’ ২৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ২শ’ ৯৩টির, কমেছে ৪২টির, অপরিবর্তিত থাকে ২০টির দাম।
লেনদেনের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দেখা যায় স্কয়ারফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সফার্মা, সিঙ্গারবিডি, বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ইন্দোবাংলা ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের নতুন কমিশন এবং চেয়ারম্যান বাজার উন্নয়নে ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছেন। এতে বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পরিচালকদের এককভাবে ২%, সম্মিলিতভাবে ৩০% শেয়ারধারণের শর্ত পূরণের সময়সীমা দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএসইইসি। সেইসঙ্গে কারসাজি করে শেয়ারের দামবৃদ্ধিতে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে বড় অংকের জরিমানা করতে দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকায় তার নিচে দাম চলে যাওয়ার ঝুঁকি নেই তাই বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর আবার বাজারমুখী হয়েছেন। এছাড়া, করোনার আগেই শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে পতন হওয়ায় বড় বিনিয়োগকারীরাও এখন সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. মোহাম্মদ হেলাল। তবে তার মতে, সার্বিকভাবে অর্থনীতির অবস্থা ভালো না, করোনায় তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্থায়ী হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
এদিকে ৩০ মিনিট বাড়িয়ে রোববার থেকে লেনদেনের নতুন সময়সীমা চালু হয়েছে। লেনদেন চলে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
Leave a Reply