বিবাহ’ জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। একজন নারী ও একজন পুরুষের যৌথ জীবনের স্বতঃস্ফূর্ত অঙ্গীকার এটি। যে চুক্তির মাধ্যমে বিপরীত লিঙ্গের দুজন মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হয়, তা-ই বিয়ে। এর দ্বারা মানুষ তার মনের কামনাকে বিধিবদ্ধভাবে পূরণের স্বীকৃতি পায়। দৃষ্টি সংযত রাখা ও উন্নত চরিত্র গঠনের সবচেয়ে কার্যকারী ব্যবস্থা হচ্ছে বিয়ে। জৈবিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরহেজগারী ও সুস্থ সংস্কৃতির পূর্ণতায় পৌঁছানোর অন্যতম একটি উপাদান এটি।
ইসলামে বিয়েকে আলাদা মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিয়ে করা উচিত। ইসলামে বিয়েকে ইবাদতের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে পরিবর্তন। এর মাধ্যমে জীবন প্রবেশ করে সম্পূর্ণ নতুন একটি পর্যায়ে, যা দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ বয়ে আনে। বিয়ে একটি সুন্নত, তাই এটি সুন্নত তরিকায় করাই সমীচীন। এইদিকে বাবা-মা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সমাজে খেয়াল না রেখে তারা বলে আগে প্রতিষ্ঠিত হও তারপরে বিয়ের পিঁড়িতে বস।অতচ এই আয়াতে আল্লাহ বলেন :
وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
বিয়ে করো,তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি
আল্লাহর……!!!!!!অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। আল্লাহ বলেন ধনী হতে চাও বিয়ে করো।
আবার রাসুল (সা.) বলেছেন, ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمْ: المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ العَفَافَ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তায়ালার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়।
১। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদকারী,
২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী
সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়
৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।
হাদিসটি পাবেন
(তিরমিজি-১৬৫৫, নাসায়ি-৩২১৮, ৩১২০, সহিহ ইবনে হিব্বান-৪০৩০, বায়হাকি, সুনানুল
অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু
সময় পাওয়া যায়।কেন এতো বিয়ে করতে দেরি
করছেন।আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন।
আল্লাহ তোমাকে বড়লোক বানিয়ে দেবেন তার
ওয়াদা দিয়েছেন।শুধু খামাখা কেন দেরি করছেন, বিয়ে করুণ……যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল
অফার টাকে গ্রহণ করুণ। বিয়ে করুণ
বিয়ে করলে যে উপকারিতা পাবেন তা হলো
১। লজ্জা স্থানের হেফাজত হয়।
২। বিবাহ চক্ষু নিচু করে এবং খারাপ চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করে।
৩। তাড়াতাড়ি ধনি হওয়া যায় কারণ সে সংসারে মনোযোগী হয়।
৪। ইমান পরিপূর্ণ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হয়।
৫। অনেক রোগ-ব্যধি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়।
৬। সঠিক সময় ইবাদত করা যায় এবং ইবাদতের মর্যাদা পাওয়া যায়।
৭। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
৮। মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
৯। মেজাজ ঠান্ডা থাকে’মাথা কখনো হট হবেনা।
১০। যৌবনের ক্ষুদা নিবারণ হয়।
আরো অনেক উপকারিতা আছে যা বলে শেষ করা যাবে না।
খাবার না পেলে যখন ক্ষুদার যন্ত্রনায় হারাম
ভক্ষণ করে ফেলে।ঠিক সেই রকম বউ না থাকলে যৌবনের ক্ষুদার তাড়নায় অনেকে লজ্জা স্থান দিয়ে পর নারীর সাথে যিনা করে ফেলে।
বিয়েকে সহজ করুণ,দেখবেন সমাজ থেকে
অনেক জেনা ব্যাবিচার কমে যাবে।
ছেলেমেয়েদের অভিবাবকদের বলি অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে বিয়ে করান। সরকারি চাকরি বাদ দেন,আগে দেখুন ছেলে মানুষ কিনা।যদি মানুষ হয়, তার সাথে বিয়ে দেন। কারণ একটা মেয়ে কখনো খাবার অভাবে
মারা যায়না।মারা যায়তো জানোয়ার গুলোর অত্যাচারে।
তাই মেয়ের বাবাদের বলছি বিষয়টি বিবেচনায় নেন।
ছেলের বাবাদের বলছি
আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন ধনী বানিয়ে দেবে
তাই ছেলেকে বিয়ে করাণ,,, খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে আপনার ছেলে।আল্লাহ তায়া’লা আমাদের সবাই কে বুঝার তৌফিক দান করুণ( আমিন)!!