পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের তফসিল ঘোষনাা হবার পর থেকে দেখা গেছে ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা কলাপাড়া প্রভাবাশালী নেতাদের কাছে ভিরতে পারছে না,অন্য দল থেকে আসা নেতারা নৌকার টিকেট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দল থেকে এসে নৌকা বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিপরিতে অবঙ্গা ও নানা কুট-কৌশলে ঝড়ে পরছে তৃর্ণমূল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। মাঠ পর্যায়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেন তারা আজ হাইব্রিড ও হঠাৎ নেতাদের দাপটে কোনঠাসা হয়ে পরেছেন। এদের ছোবল কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনই এসব হাইব্রিড ও কথিত নেতাদের আশির্বাদ তুষ্ট হওয়া নেতাদের লাগাম টেনে না ধরলে বিপদ হবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’র আদর্শে গড়া দলটির। সারাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চলছে। এরই ধারা বাহিকতায় কলাপাড়া উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নে ১৪ নভেম্বর তফষিল ঘোষনা করার পর থেকে গরম হয়ে উঠছে। থেমে নেই অতি উৎসাহী, হাইব্রিড মার্কা ও দল সর্বনাশ কারীরা। উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মো.মকবুল হোসেন দফাদার দীর্ঘ বছর ধরে বিএনপি সংগঠন সাথে যুক্ত ছিলেন হঠাৎ করে আওয়ামীলীগে এসে দলীয় ফরম কিনে,কাউন্সিল ভোট পায় ২৭ টি একই বলে হাইব্রিড। আর ত্যাগি নেতারা মো.মকবুল হোসেন দফাদারের কুট-কৌশলে পরাস্ত হয়ে কোলঠাসা হয়ে পরেছে। এবিষয়টি গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টক অব দ্যা উপজেলায় পরিণত হয়েছে। জানা যায়, মো. মকবুল হোসেন দফাদার ২০০৫ সালে চাকামইয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বি,এন,পি’র সভাপতি ছিলেন। তৎকালীন সময়ে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি জিয়াউর রহমানের ৩১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মরনীকা প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, তিনি ১ নং চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র পক্ষ থেকে তার ছবি সহ শাহাদাৎ বার্ষীকীর এই দিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে এরকম একটি শুভেচ্ছা বাণী জানান। তার পরেও কোন এক অজানা কারনে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এ বি,এন,পি’র নেতাকে মনোনায়নের সুযোগ করে দেয়। যা দেখে স্থানীয় নৌকা প্রেমিরা হতবাক। তার টাকা আর কৌশলে জড়িয়ে ডেলিগেটরা নৌকার গলইতে ঝিম দিয়ে বসে পরছেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দলের চাকামইয়া ইউনিয়নের অনেক নেতাকর্মী চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। সেখানে এক সময়ের বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন দফাদার কি ভাবে তৃর্ণমূল ভোটে প্রথম হয় তা আমাদের বুঝে আসে না। নেত্রীর কাছে আকুল আবেদন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই বিতর্কিত ব্যাক্তিকে বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগ পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেয়া হোক।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, আমাদের কাছে কাগজ আছে, ঘটনা সত্য।