রাজশাহী নগরীতে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরের বিরুদ্ধে। নগরীর চন্দ্রিমা থানার খড়খড়ি এলাকায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পাশবিকতার শিকার ওই শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই কিশোরকে (১৬) আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর জানান, সকালে শিশুটিকে বাসায় রেখে বাবা ভ্যান চালাতে যান। শিশুটির মাও বাইরে কাজে যান।
এ সুযোগে প্রতিবেশী ওই কিশোর বাসায় ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ওই কিশোর গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, দুপুরে শিশুটির বাবা-মা ফিরে এসে দেখেন শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রক্তক্ষরণ দেখে শিশুটির মা তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে সন্দেহ করেন। দ্রুত নিয়ে যান গ্রামের ডাক্তারের কাছে।
শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক।
শিশুটি তার মাকে জানায়, ওই কিশোর তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। দুপুরের পর শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, শিশুটির বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে রক্ত দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতালে আনতে কিছুটা দেরি হওয়ায় রক্ত দেয়ার দরকার হয়। তবে দ্রুত সময়ে সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত হওয়ায় তার শারীরিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল। আশঙ্কার কারণ নেই। ওসিসি থেকে শিশুটির চিকিৎসা ও পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর আরও জানান, পরিবার ও এলাকাবাসী ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে না জানিয়ে গ্রামের লোকদের নিয়ে ধর্ষক কিশোরকে ধরতে খোঁজাখুঁজি করেন। এতে কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে।
বিকেলে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। দ্রুত ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Leave a Reply