অবশেষে আবাসনের কাজ স্থগিত করেছে প্রশাসন। বানারীপাড়া উপজেলার কাজলাহার গ্রামে ১২টি সংখ্যালঘু পরিবারের পৈত্রিক ও রেকর্ডিয় সম্পত্তি দখল করে উপজেলা প্রশাসন গৃহহীনদের জন্য আবাসন নির্মানের জন্য ভেকু দিয়ে ফসলী জমি ও বালু দিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করে। এসময় ভুক্তভোগীরা ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাদ দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আবাসন নির্মানের দাবি জানান। কিন্তুু প্রশাসন তাদের কোন দাবির কথা শোনেনি। ভুক্তভোগীরা বানারীপাড়া উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের বরাবরে তাদের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ করেন। ওই স্থানে বরিশাল জেলা মানবাধিকার প্লাটফরমের সদস্য ও উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক এস মিজানুল ইসলাম, সভাপতি এটিএম মোস্তফা সরদার, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তারা ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পান। তিন মাস পূর্বে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ সুমন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সরকারি সম্পত্তির চেয়ে ১২ টি হিন্দু পরিবারের সম্পত্তি জোর পূর্বক ১৫ থেকে ২৫ ফুট জমি সরকারি বলে লাল নিশান দিয়ে চিহ্নিত করে। পরে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মহসিনুল হাসান কাজ শুরু করেন। এসময় পানের বরজ ও ফসলি জমি ভেকু দিয়ে কেটে কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাষীস দাস এবং সম্পাদক ও কাউন্সিলর গৌতম সমাদ্দার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহার সাথে মতবিনিময় করলে তিনি পুনরায় সরকারি ও ভূক্তভোগীদের সার্ভেয়ারের সমন্বয়ে সম্পত্তি মেপে চিহ্নিত করেন। তাতে সরকারি সার্ভেয়ার মোঃ সুমন ভুক্তভোগীদের সম্পত্তি সরকারি দখলের মধ্যে নিয়েছেন দেখা যায়। তিনি নিজের মাপকে সঠিক বলে স্থির থাকেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বিতীয়বার অপর সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে পুনরায় মাপজোপ করান। তাতে ভুক্তভোগী সার্ভেয়ারের মাপ সঠিক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
এ ঘটনার পরে শুক্রবার বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা আবাসনের নির্মাণ কাজ স্থগিত করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, নতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি সুরাহা করবেন।
Leave a Reply