সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রমজানপুর বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মামুন বেপারী। রাজাপুরে মায়ের চোখের সামনে ট্রলি চাপায় শিশু ছাত্রী নিহত মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নবনির্বাচিত চেহারমান মোঃ মিল্টন ইব্রাহিমের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালী কালকিনির সিডিখানে বোমা বিস্ফোরনে শিশু-নারী আহত কালকিনিতে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কলাপাড়ায় হাইব্রিডদের দখলে আওয়ামীলীগের ঘর,বিপাকে ত্যাগী নেতাকর্মীরা মাদারীপুরে দুই স্বেচ্ছাসেবী কর্মীকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উজিরপুরে ডিবির অভিযানে প্রায় দুই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার চিত্র নায়িকা পরিমনির সাথে ডিবি কর্মকর্তার,প্রেম সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শেখ কামালে’র জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

রাজাপুরে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী তালগাছ! দেখা যাচ্ছেনা বাবুই পাখি

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট: শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ | খবরটি 
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে

কালের বিবর্তনে ঝালকাঠি জেলায় হারিয়ে যাচ্ছে তালগাছ, রস ও গুড়। বৃহত্তর ঝালকাঠি তথা ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এলাকায় পরিপূর্ণ ছিলো তালগাছ গাছে। আজ তা বিলুপ্তির পথে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ বান্ধব তালগাছ। তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, তালপাতার চাটাই, মাদুর, আঁকবার পট, লেখবার পুঁথি, পুতুল ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরী হয় এমনকি তালের কাট দিয়ে বাড়ি, নৌকা, হাউস বোট তৈরি করা হতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে গ্রামাঞ্চল থেকে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ তালগাছ।

তালের ফল এবং বীজ দুই-ই বাঙালির জন্য সুস্বাধু খাদ্য। তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি তৈরি করা হতো। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। তালগাছকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “তালগাছ, এক পায়ে দাড়িয়ে, উকি মারে আঁকাশে, সব গাছ ছাড়িয়ে,।” রবীন্দ্রনাথ তাল গাছকে একাকী এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ধ্যানী বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাল গাছকে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে, ক্লাসে পড়া না পারা ছাত্রের সাথে তুলনা করেছেন। আমাদের দেশের পরিবেশ বান্ধব এই তাল গাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়। তাল গাছের পাতার সাথে সুপরিচিত বাবুই পাখির সুনিপুণভাবে তৈরী পাতার সাথে ঝুলানো বাসা (আশ্রয়স্থল) সকলের পরিচিত।

গ্রামগঞ্জে আজকাল হাজার হাজার পাখির কিচির-মিচির ডাক আর মনোরম দৃশ্য চোখে পরে না। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি হয়ে উঠছে বিরাগভাজন। সময় মত বৃষ্টি না হওয়া, আবার অতিবৃষ্টি, কালো মেঘের বজ্রপাতে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা এত বেশি যা ভাবিয়ে তুলছে। এ অবস্থায় তাল গাছ রোপণ, হেফাজত ও রক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ প্রয়োজন।

রাজাপুর উপজেলার কয়েকজন কৃষকের সাথে তালগাছ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, “তাল গাছের সকল অংশই মানুষের উপকারে আসে। এ গাছ রোপন করলে তাতে বেশী জমি দখল করেনা তাই জমিও নষ্ট হয় না। কোন সার ঔষুধ ব্যবহার করতে হয়না। কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। রোপন করার ১০ থেকে ১৫ বছর পরে তাল গাছে ফল ধরে। এ গাছ খুব শক্ত-পোক্ত হওয়ায় ঝড় বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম থাকে। তবে কৃষকরা দাবী করেন এ বিষয়ে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা এবং তদারকি থাকলে হয়তো গাছগুলো একটু বেশি করে রোপন করা হত।”

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন,, তাল গাছ রোপনের ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করি এবং কিছু জায়গাতে চারা রোপন করা হয়েছে। কিন্তু আগের তুলনায় একটু কম। তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে আমাদের কোন অর্থ বরাদ্ধ বা কোন প্রজেক্ট নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *