বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি।।
বানারীপাড়া দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে। পুলিশ প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেনকে
উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর।
এবিষয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আতিকুর রহমান রাজিব জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেনের অত্যাচারে দপ্তরি আবদুল হাই স্টোক করে মারা যান। এছাড়াও তার স্ত্রী বরিশালে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মৃত আব্দুল হাই স্কুলের কাছে ২৩ মাসের বেতন/ভাতা পাওনা রয়েছে কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা দিচ্ছেন না। তিনি আরও জানান বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন অডিট প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় ১ লাখ টাকা হের-ফের করার অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ৪০ হাজার টাকা ম্যানেজিং কমিটি ছাড় দিয়েছেন। অনিয়মকৃত ৬০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক স্কুল ফান্ডে জমা দিয়ে দিবেন। তিনি আরও জানান স্কুলের অভিভাবক সদস্য মোঃ হারুন স্কুলের সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করেন! যেখানে পাঁচ জন মহিলা শিক্ষিকা শিক্ষক মিলনায়তনে অবস্থান করেন সেই কক্ষের লাইভ সিসিটিভি ফুটেজ তার রাখা কতটুকু যৌক্তিক তা কারও বোধগম্য হচ্ছেনা। তথ্য অধিকার আইনে তা কতটুকু যৌক্তিক?
সরেজমিনে গিয়ে তথ্য সুত্রে জানা যায় প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন ২০ মে ২০২১ সালে নিয়োগ পেলেও রেজিষ্ট্রারে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই বিদ্যালয়ের ভাতা গ্রহণ করেছেন। অথচ মৃত আবদুল হাইয়ের পাওনা ভাতা দিচ্চছন না! চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক উইং) কাওসার আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানা গেছে প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেনের নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় তার এমিপও ভুক্তির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ কমিটিকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো.জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মোঃ হারুন জানান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।
এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার উপ পরিদর্শক ওসমান গনি জানান স্কুল সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের একটা ঝামেলা রয়েছে তা নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্কুলে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তিনি অন্য কাজে ব্যাস্ত থাকায় সময় দিতে পারোননি।এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছে পাওনা টাকার ৫০ হাজার টাকা তিনি স্কুলের একাউন্টে জমা দিয়েছেন। এছাড়া মৃত আব্দুল হাইয়ের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে আর অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
Leave a Reply