1. almasbepary52@gmail.com : Almas Bepary : Almas Bepary
  2. musafirmostofa2@gmail.com : Nazmul Hossain : Nazmul Hossain
  3. rajkutir17@gmail.com : Abu Sayed : Abu Sayed
  4. admin@ajkalbd.news : Admin : Admin
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটির উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বরিশালে মেয়রের উদ্যাগে পথচারিদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ। রূপান্তর আস্থা প্রকল্পের ত্রৈমাসিক সভা এবং শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারের জন্য নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে তথ্য বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন। সিরাজগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহতদের বাড়ি ও ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন ধর্মমন্ত্রী। মহম্মদপুরে নহাটা শ্মশান কালী বাড়ি মন্দিরের ঘাট পরিদর্শন করলেন উপজেলা প্রশাসন। গৌরনদীতে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ, প্রদশর্নী ও পুরস্কার বিতারন। । ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী – ২০২৪ ও আলোচনা সভা। সোনাইমুড়ীতে সাংবাদিক মাকসুদ আলম সন্ত্রাসী হামলার শিকার !
ব্রেকিং নিউজ:
বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটির উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বরিশালে মেয়রের উদ্যাগে পথচারিদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ। রূপান্তর আস্থা প্রকল্পের ত্রৈমাসিক সভা এবং শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারের জন্য নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে তথ্য বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন। সিরাজগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহতদের বাড়ি ও ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন ধর্মমন্ত্রী। মহম্মদপুরে নহাটা শ্মশান কালী বাড়ি মন্দিরের ঘাট পরিদর্শন করলেন উপজেলা প্রশাসন। গৌরনদীতে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ, প্রদশর্নী ও পুরস্কার বিতারন। । ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী – ২০২৪ ও আলোচনা সভা। সোনাইমুড়ীতে সাংবাদিক মাকসুদ আলম সন্ত্রাসী হামলার শিকার !

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের ১৯৭১ সালে প্রাণে বেঁচে যাওয়ার এক করুণ কাহিনী

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে

সময় টা ১৯৭১ সাল সারা দেশের মাটিতে পাকিস্তানি সেনাদের হানা।কিন্তু দমন করতে পারেনি বাংলার দামাল সন্তানদের। সেই অনুভুতি গুলো যানতে চাওয়া হয় এক যুদ্ধাহত এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে। তিনি হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলাধীন ৪ নং লেহেম্বা ইউনিয়নের উমরাডাংগী গ্রামের মৃত বেশারত আলীর কৃতি সন্তান বীরমুক্তিযোদ্বাহত আবু সুফিয়ান তিনি একান্ত সাক্ষাৎকারে এই প্রতিনিধি কে জানান,১৯৬৬ সালে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগদান করেন( কোড নাম্বার ১৩২৭৬৬৬) পরে তিনি কর্মরত ক্যান্টনমেন্টের প্রধানের নির্দেশনা মোতাবেক ৩০-১২-১৯৭০ সালে বাড়িতে রিজার্ভে চলে আসেন।পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলী আকবর (সাবেক সংসদ) ও নফিজউদ্দীন মাস্টারে নেতৃত্বে যুবকদের নিয়ে সংগ্রাম কমিটি গঠন করেন। এই সংগ্রাম কমিটির নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় যবকদের অস্ত্র ট্রেনিংয়ের।২৭-০৩-১৯৭১ সালে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণে প্রায় ৮৪ জন যুবকে রানীশংকৈল ডাকবাংলা মাঠে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক (সেনা সদস্য) আবু সুফিয়ান প্রশিক্ষণ চলে প্রায় ২২ দিন। এই যুবকদের দিয়ে ভিন্ন জায়গায় মাঝে মাঝে অপারেশন পরিচালনা করে কয়েকজন বেহারী কে মারে ফেলেন আবু সুফিয়ান সহ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যুবকেরা মিলে।কয়েক দিন পরেই তারপর যখন পাক সেনারা অতর্কিতভাবে রাণীশংকৈলের মাটিতে প্রবেশ করে এবং কয়েক জন সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে আসে বর্তমান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে এবং তাদের কে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলে পাকিস্তানি সেনারা।তারপর একদিন পরেই আবু সুফিয়ানের বাড়িতে হানা দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য রা স্থানীয় পিস কমিটির গয়েন্দা সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী। পরে আবু সুফিয়ান নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য বাড়ির দরজার পিছন দিয়ে কুলিক নদীতে দোড়ে গিয়ে ঝাঁপ দেয় কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা তার পিছু ছাড়েনি তিনি পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার পরেও পানিতে গুলি করতে শুরু করে কিন্তু নদীতে পানি বেশি থাকায় ভাগ্যক্রমে সেই গুলি থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু পানি থেকে উঠে পালানোর সময় পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গুলি তার ডান পায়ের হাটুর উপরে লেগে যায়। পরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং আবু সুফিয়ান কে পাকিস্তানি সেনারা দুই হাত ধরে মাটির সাথে গড়িয়ে গড়িয়ে নিয়ে আসে তার নিজ বাড়িতে এবং বাড়িতে যা কিছু ছিল সব লুটপাট করেন পিস কমিটির সদস্যরা।এই সব ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন স্থানীয় গ্রামের কয়েকজন যুবক যেমন মৃত হামজু আলীর ছেলে মারফত আলী,মনির উদ্দিনের ছেলে এরশাদ আলী, আজম আলীর ছেলে বদিরুল (বর্তমান রানীশংকৈল সোনালী ব্যাংক মার্কেটের মালিক) মজুশেখ আলীর ছেলে জমিরউদ্দীন সহ নাম না জানা আরো অনেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন আবু সুফিয়ান কে পাকিস্তানীরা এভাবে নির্যাতন করতে করতে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে কি করেছে আমরা আর তা কিছু বলতে পারি নি।

কিন্তু আবু সুফিয়ান বলেন মডেল স্কুলে আমাকে ধরে নিয়ে আসার পরে আমাকে রিকশায় করে পীরগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় পরে আমাকে কয়লার ইঞ্জিনে ট্রেনে করে দিনাজপুর ক্যান্টনমেন্ট এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে পাকিস্তানি বাহিনীরা এবং নির্যাতনের পরে আমাকে পাকিস্তানি সেনাদের মারার উপরাধে দীর্ঘ সাত মাস এমএল এ এর মালমা দিয়ে রংপুর জেল হাজতে বন্দি রাখে এবং শেখানো বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাই আমার উপর। পরে আমি দীর্ঘ সাত মাস পরে বাড়িতে ফিরে আসার পরে মানুষজন জানতে পারে আমি বেঁচে আছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright: 2020 -2023 “দৈনিক আজকাল” রাজ কুঠির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
Design By Fahim Mahmud