খেজুরের রশ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করা একটি নাম। যার স্বাদে মানে অতুলনীয় এর বিকল্প স্বাদ যেন কোন কিছুতেই মেটানো যায়না অনেকেই মনে করেন খেজুর গাছের কস এটি অমৃত’র স্বাদ মেটানো পানি বা রশ। যুগের পর যুগ ধরে শীতকাঁল আসলেই রস পিপাসু মানুষ গুল শহর ছুটে গ্রাম আসেন রস ও রসের পিঠার টানে। কিন্তু বিগত ৭থেকে৮ বছর ধরে রশের দেখা মিলছে না আর শহরে থাকা রস পিপাসু মানুষ গুলোও গ্রামের মায়া ও ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছে। নেই চাষিদের মূখেও হাসি। বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়রে চাষি রত্তন আলী জানান অনেক বছর ধরে আবহাওয়া খারাপ যাচ্ছে তাই শুকিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ এবং বড় বড় গাছ পালায় ডেকে থাকছে খেজুর গাছ তাই রোদও পরেনা আর আগের মত রসও হয়না তাই এখন আর হিয়ালীরা গাছ কাটছেনা। এক যুগ আগে প্রতিটি গাছে ১হড়ির(২০কেজি) বেশি রস হইতো। আর এখন ১৫টি গাছ মিলিয়ে ২হাড়ি(৪০কেজি) রস হয়। তাই এখন আর গাছ কাটার ইচ্ছে থাকেনা। এবছর শীতে ৩০টি গাছ ছিলেছে ২পালা ভাগ করে প্রতিদিন ১৫টি গাছের রস সংগ্রহ করি। তাতে ২হাড়ি (৩৫থেকে৪০ কেজি) রস হয়। তা বিক্রি করি ৬শত টাকা পাই।
অন্যদিকে গ্রাম্য ভাষায় যাদেরকে বলা হয় দিনে আনে দিনে খায়, হতদরীদ্র মানুষ যারা ৩শত টাকা রশের হাড়ি কিনতে পারেন না, তারা বাজারে রশ উঠলেই দেখা যায় তাকিয়ে থাকেন রশের হাড়িরে দিকে। আর হয়তো মনে মনে ভাবেন যদি ছেলে মেয়ে নিয়ে ১হাড়ি রশ খেতে পারতাম। কিন্ত তাদের ৩শত টাকার রস কেনার সামর্থ্য নেই, ৩শত টাকয়া কিনতে হলে সেদিন থাকবেনা তার ঘরে ঢাল চাল জুটবেনা ভাত।
রাজগুরু গ্রামের ফিরোজ মাহমুদ বলেন গ্রামের যারা বর্তমানে ঢাকায় বড় হয়েছেন ইয়াং জেনারেশন তারা অনেকেই গ্রামের ঐতিহ্য খেজুরের রস সম্পর্কে ধারনাই নেই।
Leave a Reply