“শিশুরাই হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ”।
শিশু মানেই নিষ্পাপ, পবিত্র এবং সুন্দর!
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, সেই শিশুরাই এখন সবচেয়ে বেশি নির্যাতন এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত চার বছরে ১ হাজার ৮৫ টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে! তার মধ্যে গত মাসেই হত্যা করা হয়েছে ২৯ টি শিশুকে….!
এখন যেকোনো ঘটনায় বলির পাঠা হচ্ছে শিশুরা। মানে হত্যার সহজ নিশানা এখন নিষ্পাপ শিশুরা! জমিজমা বা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, পারিবারিক কলহ, ইত্যাদি যেকোনো কারণে এখন শিশুরাই হচ্ছে হত্যার সহজ নিশানা!
কিছু ঘটনা, শিশুর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে। শিশু রাজন, শিশু রাকিব, শিশু তুহিন, শিশু তমা, শিশু তাহমিনা, শিশু আকিফা, এরা শিশু নির্যাতন এবং হত্যার ভয়াবহ চিত্র। এক কিশোরী মা তার নবজাতক শিশুকে পাঁচতলা থেকে ফেলে দেয়! এই ঘটনা বিস্মিত এবং হতভম্ব করেছে সমগ্র দেশবাসীকে! এরপর আরেক মা তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে! এই দুটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবদুল্লাহ নামের এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, অপহরণকারী এবং হত্যাকারী সম্পর্কে শিশুটির নানা হয়!
এই সমস্ত ঘটনা থেকে বুঝা যায় যে, শিশুরা এখন নিকট আত্মীয়-স্বজন, এমনকি নিজের গর্ভধারিণী মায়ের কাছেও নিরাপদ না!
শিশুরা শারীরিক, মানসিক, এমনকি যৌন নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে। বর্তমানে শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিশুরা তাদের নিকট আত্মীয় -স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, মানে পরচিত এবং কাছের মানুষজন দ্বারাই বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। এখন তিন বছরের শিশু পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
৩ -৪ বছরের শিশুরাও মানুষ নামের কিছু নর পশুর বিকৃত লালসার স্বীকার হচ্ছে।
শিশুদেরকে এখন শুধু ধর্ষণই করা হচ্ছে না।
ধর্ষণের পর বেশিরভাগ শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে! শিশু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিত।
তাহলে হয়তো বা বন্ধ হতে পারে শিশু ধর্ষণ।
এছাড়া শিশু শ্রমিক এবং শিশু গৃহকর্মীরাও নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
রাজন এবং রাকিব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবার পরও বন্ধ হচ্ছে না শিশু হত্যা, শিশু নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ।
তাহলে আর কিভাবে এবং কি উপায়ে বন্ধ হবে শিশুর প্রতি সহিংসতা?
Leave a Reply