লকডাউনকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানোর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো: খলিলুর রহমান।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের সালথায় পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন বক্তব্য নয় তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার, সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর, সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ সুমিনুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সালথা থানা ওসি আশিকুজ্জামান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে লোকজনকে পেটানো হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে সালথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে তাণ্ডব চালায় স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় কেউ কেউ গুজব ছড়ায়, পুলিশের গুলিতে অনেকে মারা গেছে। এছাড়া মাদ্রাসার মুহতামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও গুজব ছড়ানো হয়। এমন নানা গুজবে জড়ো হয় শতশত মানুষ।
একপর্যায়ে সালথা থানা, উপজেলা কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ও আবাসিক ভবনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। আগুন দেয়া হয় ভূমি কার্যালয়, ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়িতে।
ওই দিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব তাণ্ডব চালানো হয়। নগরকান্দা-সালথা সার্কেল ও সালথা থানা ওসির নেতৃত্বে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও ডিবি এসে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এতে একজন নিহত হন। পরে গত বুধবার আরো এক জনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এতে ২৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত প্রায় চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৪৮জনকে গ্রেফতার করেছে।
Leave a Reply