করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে লোকজনকে পেটানো হয়েছে- এমন গুজব ছড়িয়ে গত সোমবার ৫ই এপ্রিল
ফরিদপুরের সালথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্র ঘেরাও করে তান্ডব চালায় স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় কেউ কেউ গুজব ছড়ায়, পুলিশের গুলিতে অনেকে মারা গেছে। এছাড়া মাদ্রাসার মুহতামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও গুজব ছড়ানো হয়। এমন নানা গুজবে জড়ো হয় শতশত মানুষ। একপর্যায়ে সালথা থানা, উপজেলা কম্পেক্সসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ও আবাসিক ভবনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। আগুন দেয়া হয় ভূমি কার্যালয়, ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি’র) গাড়িতে। ওই দিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পযন্ত এসব তান্ডব চালানো হয়।
ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ হাজার জনকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ পযর্ন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে এজাহার নামীয় ১০ জন এবং ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আরো ৫১ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতার কৃত ৬১ জনের মধ্যে ১১ জনকে ৭ দিন ও ১৫ জনকে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে আদালত ১১ জনের ২ দিন ও ১৫ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন, এতে ১৫ জনের ৫দিন করে রিমান্ড চলছে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে পুরুষ শূণ্য হয়ে পরেছে কৃষি নির্ভর সালথা উপজেলার বেশকিছু গ্রাম ফরিদপুরের সালথা উপজেলাকে পাট ও পেঁয়াজের রাজধানী বলা হয়ে থাকে এ মৌসুমটি সোনালী আশঁ খ্যাত পাটের মৌসুম হওয়ায় এবছর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা যেতে পারে বলেও ধারণা করছেন অনেকে । শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে ফুকরা, মাঝারদিয়া, ইউসুফদিয়া, পুরুড়া, নটখোলা, রামকান্তুপুর এলাকার হাট বাজার গুলো বন্ধসহ ওইসব এলাকার বাড়ি-ঘরগুলোতে নারী আর শিশু ছাড়া কোনো সদস্য দেখা যায়নি। এ সময় বাড়ির নারী ও শিশুদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ দেখা গেছে আতঙ্ক বিরাজ করছে সকলের মাঝে । বাইরের মানুষ দেখলেই তারা ভয়ে দৌড়ে সরে যাচ্ছেন।
Leave a Reply