বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।এসময় বাধা দিতে গিয়ে দুইজন আহত হয়েছেন।এঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানাগেছে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের মৃত ছামাদ খলিফার ছেলে সেলিম খলিফা বসত বাড়ীতে রোববার রাতে একই বাড়ীর প্রতিপক্ষ মৃত শুক্কুর আলী খলিফার ছেলে হানিফ খলিফা ওরফে সুজন, ভাই আরিফ খলিফা, তাদের স্ত্রী রেশমা বেগম, ছালমা বেগম, মেয়ে দোলা আক্তার, তামান্না বেগম ও স্ত্রী মমতাজ বেগম হামলা চালিয়ে সেলিম খলিফার রান্নাঘড় ভাংচুর করে। এসময় সেলিম খলিফার স্ত্রী শারমীন বেগম ও গর্ভবতী মেয়ে সুরভী বেগম বাধা দিতে গেলে তাদেরকে মারধর করে আহত করে। এঘটনায় সেলিম খলিফা নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
সেলিম খলিফা জানান আমার বসত বাড়ীতে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২৫ শতাংশ এবং ধলু খলিফার কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে ২৫ শতাংশ ক্রয় করে ১৯৮৯ সালে ২৪ শতাংশ শুক্কুর আলী খলিফার কাছে বিক্রি করি। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ওই ২৪ শতাংশ সম্পত্তি ফেরত আনি। টাকা পরিশোধের পরে তারা আজ কাল করে রেজিস্ট্রি করে ফেরত দেয়নি। সম্পত্তি আমার দখলে আছে। ওই সম্পত্তিতে থাকা রান্নাঘড় রোববার রাতে শুক্কুর খলিফার পরিবারের লোকজন হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তাদের হামলায় আমার স্ত্রী ও মেয়ে আহত হয়েছে। আমার স্ত্রী শারমীন বেগম বাদী হয়ে এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ এসে পরিদর্শন করেছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শুক্কুর খলিফার ছেলে সুজন ও আরিফকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তাদের বোন তামান্না বেগম প্রতিপক্ষ সেলিম খলিফার রান্নাঘড় ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন ৩৫ বছর পূর্বে আমার বাবা ওদের কাছ থেকে ২৪ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে ছিল। তারা আমাদের সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে। আমরা একাধিক বার ঘড় উত্তোলন করতে চাইলে তারা দখল ছাড়েনি। এঘটনায় আমার মা মমতাজ বেগম ২০২০ সালে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দয়ের করে মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে।
এব্যাপারে এসআই নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, সেলিম খলিফার দায়ের করা অভিযোগের পরে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে সোমবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক সরদার স্থানীয়দের নিয়ে বসার কথা রয়েছে। সমাধান না হলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply