বানারীপাড়া ভূমি অফিসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে অভিযোগকারী মো. বেল্লাল হোসেন বানারীপাড়া ভূমি অফিসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বানারীপাড়া উপজেলার আউয়ার গ্রামের মৃত খলিল মাঝি মোঃ বেল্লাল মাঝি ৫৪.৫০ শতাংশ জমি লেহাজ উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমানের নিকট হইতে গত ১৭/০২/২০০৫ ইং তারিখ সাব রেজিস্ট্রি দলিল মূলে ক্রয় করে যাহার দলিল নং-৩০৩ এবং ১৬/০৪/২০১৯ তারিখ দলিল করে যাহার দলিল নং-৫৯৫। ওই সময় থেকে মো.বেলাল হোসেন ভোগ দখলে আসছে। পরবর্তী সময়ে বেল্লাল মাঝির প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন ও আবুল হোসেন গংরা তাহার জমি দখল করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় শালিস বৈঠকে দেলোয়ার হোসেন একটি ভুয়া মিউটেশন দেখায়, যাহার কেস নং-৫০৪/৯২-৯৩ (১৫০ ধারা) এবং খতিয়ান নং দেখায় ৪/১০/১৯৯৩ তারিখের ২৮৮ নম্বর। ওই ভুয়া কাগজপত্রের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বানারীপাড়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিজ্ঞ আদালত বানারীপাড়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নিকট প্রেরণ করে। বানারীপাড়ার ভুমি অফিসের
তদন্তকারী কর্মকর্তা কানুনগো নন্দলাল চাকমা, অফিস সহকারী মনির হোসেন ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মিলন শরীফ বাদীর কাগজপত্র দেখে সঠিক আছে বলে রিপোর্ট প্রদান করার শর্তে বাদী বেল্লাল মাঝির কাছে থেকে ৯৪ টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে বাদী মোঃ বেল্লাল মাঝির কাছ থেকে তদন্তকারী কর্মমকর্তারা নিয়মভহির্ভুত ভাবে ৯৪ হাজার ঘুষ গ্রহন করে। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিবাদীদের কাছ থেকে উচ্চচমাত্রার ঘুষ গ্রহন করে একটি অসত্য মিথ্যা রিপোর্ট ০২/১১/২০২০ইং তারিখ উপজেলা ভূমি অফিস এর নিকট প্রদান করে। যাহার প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী বাদী মোঃ বেল্লালের মূল কাগজপত্র থাকা সত্বেও তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা কানুনগো নন্দলাল চাকমা, অফিস সহকারী মনির হোসেন ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মিলন শরীফরা অসৎ উদ্দেশ্যে বিবাদী দেলোয়ার হোসেন ও আবুল হোসেন গংদের হইতে লাভবান হইয়া একটি মিথ্যা ও অসত্য রিপোর্ট দাখিল করে। এই ঘটনা এলাকায় চাউর হলে বাদী মোঃ বেল্লাল মাঝি বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর বানারীপাড়ার তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা কানুনগো নন্দলাল চাকমা, অফিস সহকারী মনির হোসেন ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মিলন শরীফরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে বাদী মোঃ বেল্লাল মাঝি জানান তার প্রতিবেশী বিবাদী দেলোয়ার হোসেন ও আবুল হোসেন গংরা ভয়ানক প্রকৃতির। তারা উপজেলায় ভুমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও তারা জাল দলিল ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে জমি দখল করে থাকে। তিনি আরও বলেন ওই তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা কানুনগো নন্দলাল চাকমা, অফিস সহকারী মনির হোসেন ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মিলন শরীফদের যোগসাজশে তারা এই কাজ করে থাকে।
Leave a Reply