গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের নির্বাচন বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে করা মামলার শুনানি আগামী ২৩ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মামলার সকল বিবাদী মামলায় হাজির হওয়ার সমন গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. নুর নবী সরদার। নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের গঠিত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের শেষ দিন ৪ জুলাই ২০২৩ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল গণফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গণফ্রন্ট মনোনীত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩ এর মাছ প্রতীকের পরাজিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আইন অনুযায়ী সরকারি ট্রেজারিতে দশ হাজার টাকা জমা দিয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট মো. নুর নবী সরদার ও অ্যাডভোকেট শাহানাজ আক্তার। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনকে ১ নম্বর বিবাদী এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩ এর রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলামকে মোকাবিলা বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩ এ ২৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের দাখিলকৃত এবং ৩০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে যাচাই-বাছাইয়ে অবৈধ ও প্রতারণামূলকভাবে মনোনীত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা, মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ২৫ মে ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল মর্মে রায় ও ডিক্রি দিতে আবেদন জানানো হয়। এদিকে, মেয়র হিসেবে জায়েদা খাতুনের শপথের পরদিনই গাজীপুর সিটি নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা দায়ের করার বিষয়টি গাজীপুরেতো বটেই, এমনকি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত জায়েদা খাতুনের মেয়র পদ টিকবে কিনা এমন প্রশ্ন ঘুরছে গাজীপুরজুড়ে। এ মামলার বাদী আতিকুল ইসলামের আইনজীবী মো. নুর নবী সরদার জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুনের নির্বাচন বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে করা মামলার শুনানি আগামী ২৩ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। মামলার সকল বিবাদী উক্ত মামলায় হাজির হওয়ার সমন গ্রহণ করেছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আইন অনুযায়ী এই মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে।
Leave a Reply