আশরাফুর রহমান হাকিম,নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে রবিবার বিকেলে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ। প্রতিযোগীতার আহ্ববায়ক হিসেবে ছিলেন রফিকুল ইসলাম মিন্টু।আয়োজকরা জানান, বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ও পহেলা বৈশাখকে আনন্দঘন করতে তাদের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রতিবছর এ আয়োজন করা হবেও বলে জানান তারা।
জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনিতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এক সপ্তাহে আগে এ প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ। সেই ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার বিকেলে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলা সহকারী কমিশন( ভূমি) মো: কায়েসুর রহমান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন রফিকুল ইসলাম মিন্টুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন প্রতিযোগী ইমরান আহমেদ রনি,শিফা ইসলাম,সুব্রত বাড়ৈ,সুপন বাড়ৈ,মহিদ হাওলাদার, মান্নান তালুকদার। দেড় ঘন্টা প্রতিযোগিতার এক ঘন্টা দূরত্ব বিবেচনা করে এবং আধা ঘণ্টা ঘুড়ি কাটাকাটি করা হয়। বিচারকরা বিজয়ী হিসেবে ইমরান আহমেদ রনি ও রানার আপ হিসেবে শিফা ইসলাম ও সুব্রত বাড়ৈকে যৌথ নাম ঘোষনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন আয়োজক কমিটি ও উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বক্তারা বলেন, বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও পহেলা বৈশাখের আনন্দঘন করতে তাদের এ আয়োজন অব্যহত থাকবে।
প্রতিযোগীতার আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, শৈশবকাল থেকে মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি উড়ানো হতো। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরা এ ঐতিহ্যকে হারাতে বসেছে তাই এ আয়োজন। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে হলেও তারা এ চর্চা করবে। এ আয়োজন প্রতিবছরই করা হবে বলেও জানান তিনি।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, এক সময় ঘুড়ি উড়ানোর দৃশ্য দেখা যেত। মানুষ বিভিন্ন রঙ্গের ঘুড়ি উড়াত। কে কত সুন্দর ঘুড়ি বানাতে পারে বা উড়াতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগীতা হতো। এখন সেই দৃশ্য তেমনটা দেখা যায় না। তাই সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয়। আমি না থাকলেও কালকিনিতে এ প্রতিযোগীতা চলমান থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Leave a Reply