গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের টঙ্গী পৃর্ব থানার পুলিশের নাকের ডগায় ২টি আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। টঙ্গী রেলওয়ে ষ্টেশননের সামনে নতুন বাংলা বোডিং ও বিক্রমপুর আবাসিকে রমরমা যৌন ব্যবসার বানিজ্য। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এই দুইটি আবাসিক হোটেলে চলছে অবৈধ যৌন ব্যবসা এলাকার কয়েকজনকে ম্যনেজ করে সেই সুযোগে নিরবে চলে জমজমাট এই পতিতাবৃত্তি যৌন ব্যাবসা। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের মত এই দুইটি আবাসিক হোটেল রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়।
আবার ভ্রাম্যমান দালালরা টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশ থেকে খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে।
তাদের কাছে আইনি কোন ভয় নেই । এমনই কিছু চিত্র ধরা পড়ে আমাদের কাছে।
হাঠৎ একটি যুবক আসে, প্রথমে পাশে দাড়ায়। তার মিনিট খানেক পড়ে বলেন ভাই কাউকে খুজতেছেন, যাবেন নাকি। তখন প্রতিবেদক বললেন হ্যা এখানে একটা হোটেল আছে না? যুবকটি বলেন হ্যা ভাই আছে। তবে আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে। এখন সব কচি মাল। রেট একটু বেশি অনেক টাকার বিনিময় চালু করিছি ব্যবসা। চেহারাও পরির মত। বিভিন্ন বয়সের আছে। আসেন ভাই ভিতরে ঢুকে দেখলেই প্রান জুড়ে যাবে আপনার। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এভাবেই টঙ্গীর এই দুইটি হোটেলে প্রতিদিনই আবাসিক হোটেলের নামে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা।
এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর ছোট বড় মিলে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে।
তবে এই দুই হোটেলের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি।
এই দুইটি আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়।
টঙ্গী পৃর্ব থানার পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে উল্লেখিত দুইটি আবাসিক হোটেল।
সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন বাংলা বোডিং ( হাবিব বোডিং) এর ভাড়াটিয়া মাটি, মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব, , বিক্রমপুর আবাসিক হোটেলের ভাড়াটিয়া সহিদ ও কাজল সহ একটি সংঘবদ্ধ দল ও বিভিন্ন দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে আবাসিক হোটেলের নামে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আখড়া।
এই বিষয়ে টঙ্গী পৃর্ব থানার ওসি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি, গত কয়েকদিন আগে দুজন কে আটক করে নিয়মিত মামলা রুজু করে কোটে প্রেরণ করি তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।
Leave a Reply