বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ে করে স্বামীর সংসার করা হলোনা ফাহিমার। স্ত্রী’র দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে নববিবাহিতা স্ত্রী। খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের ইদ্রিস আলী মিয়ার মেয়ে ফাহিমা খানম (২৬) জানান, তিনি ঢাকার মগবাজার আই ফ্যাশন চক্ষু হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে এলাকার পাশ্ববর্তি পশ্চিম পয়সা গ্রামের জয়নাল সিকদারের ছেলে মিরপুর সিদ্ধান্ত স্কুলের শিক্ষক শাহীন সিকদারের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বছর শাহীনের বোনের বরিশালের বাসায় তার স্বজনের সাথে সামাজিক কথাবার্তা শেষে শাহীনের বন্ধু রায়হান ও রুমান গাইনের মাধ্যমে ২৯অক্টোবর তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বরিশাল চকবাজারের কাজী মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর অফিসে শাহীন ও ফাহিমার বিয়ে সম্পন্ন হয়। যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ৬৭/আর-১৭। বিয়ের পরে নব দম্পত্তি কুয়াকাটায় হানিমুন করে যে যার মতো কর্মস্থলে চলে যায়। পরবতর্ীতে শাহিন গোপনে ফাহিমার বাড়িতে একাধিকবার ফাহিমার সাথে রাত্রিযাপন করে। বিয়ের পরে ফাহিমা তাকে স্বামীর বাড়িতে তুলে নেয়ার জন্য বললে শাহীন ভবন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে ফাহিমার কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরেও ফহিমাকে শশুরবাড়ি উঠিয়ে নিতে শাহীন ও তার পরিবার সদস্যরা তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি ফাহিমা ফোনে তার স্বাশুরী জাহানারা বেগমকে একাধিকবার জানান। তালবাহানার এক পর্যায়ে রোববার বিকেলে স্ত্রীর দাবি নিয়ে ফহিমা শাহীনের নির্মান করা ভবনে ওঠে। এসময় শাহিনের বড় ভাই আল আমীনের স্ত্রী লিমা বেগম ফাহিমাকে বাধা প্রদান করে। এসময় শাহিন বাড়ীতে না থাকলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শাহিনের বড় ভাই আল আমীন পুলিশে খবর দিলে সোমবার বিকেলে এসআই জসীম উদ্দিন সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ফাহিমার স্বামীর বাড়ি (শাহিনের ঘরে) পরিদর্শন করে। ফাহিমা জানায়, স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মেনে নিচ্ছে না। অন্যদিকে পুলিশ তাকে স্বামীর ঘর হতে বের হতে বলেছে। এঅবস্থায় আমি কোথায় যাবো? ফাহিমা ফোনে অভিযোগে জানায়, থানা পুলিশের সদস্যরা তার কোন কথা না শুনে বা কোন রকম নিরাপত্তা না দিয়ে উপয়ন্তু তাকে ঘর থেকে বের হতে বলেছে। এসময় ফাহিমা পুলিশের মনিটরিং সেল ৯৯৯এ ফোন দিয়ে অবহিত করছে বলেও জানান। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে থাকা এসআই জসীম উদ্দিন জানান, তাদের বিয়ে হয়েছে এমন সত্যতা পেয়েছেন তিনি। শাহিন বাড়িতে না থাকার কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তাই ফাহিমাকে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply