সনদ জালিয়াতির অভিযোগে বানরীপাড়ার সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হয়। কমিটির ১১ (সব) সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেজুলেশনে দেখা যায়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন তার সনদ সঠিক দাবী করেছেন।
বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) আমিনুল ইসলাম লিটন জানান, প্রধান শিক্ষকের সনদপত্র নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা চলছিল। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম খান জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বি,এড এম,এড এবং এম,এ সনদপত্র সমুহের বিষয়ে সন্দেহ হলে ঝালকাঠি জেলার রামচন্দ্রপুর শাহ মাহমুদিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ মো. আলী আজিম সরদার ও ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. মতিয়ার রহমানের সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর কমিটির সদস্য বৃন্দ তাদের প্রতিবেদন প্রদান করেন। যাতে তারা উল্লেখ করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেনের বিএড ও এমএড সনদ সনদ পত্র দুইখানা নকল করে তৈরি করা হয়েছে মর্মে প্রতিয়মান হয়। এছাড়া জাহাঙ্গীর হোসেনের জমা দেওয়া রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে অর্জিত ইংরেজি বিষয়ে এমএ সনদপত্র সঠিক নয় বলে ওই ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন। এমএ ডিগ্রির নম্বর ফর্দ ও প্রত্যয়নপত্রে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা এর যে ঠিকানা রয়েছে সেখানে কখনো রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা ছিল না বা এখনো নেই। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অধঃস্তন শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে চাকুরী বিধি বহির্ভূত অসদাচরন করছেন যা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অকল্যানকর। তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেন আমার (সভাপতি) কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি মেইলও পাটিয়েছিলেন। কিন্তু ভুয়া সনদপত্রের বিষয়ে ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি সরকারী বিধির বিষয়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন তার সনদ সঠিক দাবী করে বলেছেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইচ্ছাকৃত ভাবে তাকে নাজেহাল করে চলছেন। ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে বলেন, তিনি মেইলে কোন ক্ষমার আবেদন করেননি। তার ই-মেইল আইডি ব্যবহার করে ওই পত্র তৈরি করা হয়েছে। তিনি আইনের মাধ্যমে সব কিছু ফয়সালা করবেন।###
Leave a Reply