পায়রা বন্দর কলাপাড়ায় ট্রেনিং প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে উঠেছে পায়রা বন্দর কলাপাড়ায় “রেনডারিং ট্রেনিং টু দ্যা পিপল এফেক্টেড ডু টু একুইসিশন অফ লান্ড অ্যাট কলাপাড়া” প্রকল্পের দরপত্র আহবান করলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাথওয়ে ০৯ সেপ্টেম্বর আবেদন ফরম ক্রয় করেন।
ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন ও উত্তম কুমার হাওলাদার নির্ধারিত সময় দুপুর দুইটার আগেই উপস্থিত হন। তারা জমা দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাহিনকে ফোন করেন পরবর্তীতে মোঃ.শাহিন এসে উপস্থিত হলে পায়রা বন্দরের প্রবেশদ্বারে তাকে আটকে দেয়া হয়।
পরবর্তিতে মোয়াজ্জেম হোসেন গেটে এসে তাকে ভিতরে নিতে চাইলে তল্লাশীর নামে তার সময়ক্ষেপণ করা হয়। ভিতরে প্রবেশ করে দরপত্র জমা দিতে চাইলে প্রকল্প কর্মকর্তাগণ তার আবেদনপত্র জমা নেয়নি।
এমন ঘটনায় প্রকল্পের পিডি মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং পিডি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর কাছে গিয়ে দরপত্র জমা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে মোঃ মনিরুজ্জান তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরে বিষয়টি তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিবুর রহমানকে অবহিত করলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য হিসেবে মোঃ শাহিনের দরপত্রটি জমা নেয়ার জন্য তাদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে অনুরোধ করেন কিন্তু প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান তার কথাও অগ্রাহ্য করেন।
এব্যাপারে পাথওয়ে’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ.শাহিন নিউজনাউকে বলেন, ডরপ নামের একটি এনজিও বর্তমানে পায়রা বন্দরে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং তাতে বেশ কিছু অনিয়মের তথ্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যাতে আমার মনে হচ্ছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে পুনরায় কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য মনিরুজ্জামান সাহেব আমার আবেদন জমা নেননি। তিনি আরও বলেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য হিসেবে বিষয়টি আমি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পুনঃ দরপত্র আহবানের জন্য আবেদন করেছি এবং যার অনুলিপি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর নিকট জমা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উক্ত প্রকল্পের পিডি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নিকট মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply