সুনামগঞ্জ এক কিশোরীকে ধর্ষন ও গৃহবধু আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্বামী ও শ্বাশুরীসহ ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (৪ সেপ্টেম্ভর) দুপুরে পৃথক ভাবে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার ধর্মপাশা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ধর্ষক শাকিল মিয়া (২২), দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের আল-আমিন (২৫) ও তার মা নুরজাহান বেগম (৪৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার ধর্মপাশা সদর উপজেলার ১৮ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূরর্ক তুলে নিয়ে ধর্ষন করার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্ভর) বিকাল সাড়ে ৫টায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে লম্পট শাকিল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শাকিল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের আল-আমিনের সাথে প্রায় ২বছর আগে একই ইউনিয়নের টেংরাটিলা গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানান কারণে গৃহবধু বৃষ্টিকে নির্যাতন করতো স্বামী ও শ্বাশুরী।
প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্ভর) সকাল ৯টায় গালিগালাজ ও কুটক্তি সইতে না পেয়ে গৃহবধু বৃষ্টি বিষপান করে। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এঘটনার প্রেক্ষিতে রাত ১০টায় গৃহবধু বৃষ্টির চাচী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী আল-আমিন ও শ্বাশুরী নুর জাহান বেগমের বিরুদ্ধে মামলা নং-৬ দায়ের করেন। পরে রাত ১২টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী ও শ্বাশুরীকে গ্রেফতার করে।
ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ও দোয়ারাবাজার থানা ওসি দেব দুলাল ধর এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply