রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারী, অনুপ্রবেশকারীদের চক্রান্তে একটি নামধারী সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রচারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গাজীপুর মহানগর কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
শনিবার (১২ ই মার্চ) সকাল ১১.০০ঘটিকায় গাজীপুর মহানগর টঙ্গী কাঠাল দিয়া এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মোঃ সাইফুল ইসলাম তার বর্ণাঢ্য রাজনীতির ইতিবৃত্ত তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্কুল পর্যায় থেকেই আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছি। গতকাল সত্য মিথ্যার মিশ্রণে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তা অনেকটাই বিনোদনমূলক। এখানে সত্য কেও নেতিবাচক ভাবে প্রচার করা হয়েছে। আমার কি কি ব্যবসা আছে তা সবাই জানে। এখানে লুকোচুরির কিছুই নেই। তবে সাংবাদিক সাহেব কে বলবো যে আমার রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে দুটি ও ১০ নম্বর সেক্টরে রয়েছে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে, এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি, প্রতিবেদক ইজাজ আহমেদ মিলন সাহেব কে বলবো এই ফ্ল্যাটের মালিকানা আমাকে বুঝিয়ে দিবেন।
আমাকে বুঝিয়ে দিবেন।
টঙ্গীর দেওড়া মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই বিঘা জমির ওপর রয়েছে বড় দুটি অট্টালিকা বলে দাবী করা হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। টঙ্গীর কাঁঠালদিয়ায় দুই বিঘা জমি, একই এলাকায় পাঁচ কাঠা জমিতে তিনতলা বাড়ি ও এক বিঘা জমিতে রয়েছে একটি গোডাউনের রয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া আমি কোন ধরণের জমি দখল বা ঝুট ব্যবসার সাথে নেই।
পদ কেনেন, পদ বেচেন:
পদ-বেচা বিক্রির যে কথা তিনি লিখেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
এখানে লিখেছেন, আমি নেই রাজনীতির মাঠেঃ আমি ১৯৯৪ থেকে রাজনীতির মাঠে সকল আন্দোলন সংগ্রামে আছি। সে সময়ে বিএনপি জামায়াত সরকার ক্ষমতায় ছিলো, ২০০২ সাল আমি তখন টংগী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে অংশগ্রহন করি এবং বিজয়ী হওয়া সত্যেও নানা চক্রান্তের মাধ্যমে আমাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি ছাত্র সংসদ কতৃপক্ষ।
পাশাপাশি তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য হয়েছিলাম। এরপর গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়াও টংগী সরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংগঠনিক
সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। পাশাপাশি টংগী সরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাগাজিন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।
আমি সাইফুল ইসলাম রাজনীতি করি সাধারণ মানুষের জন্য, যে রাজনীতি বঙ্গবন্ধু করেছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা করছেন। আমি তাদের আদর্শের রাজনীতি করি।
এখানে লিখেছেন “নগরবাসীর ভাষ্য, তিনিই গাজীপুরের নতুন ‘পয়সাওয়ালা। “প্রতি টি পুরাতনের শুরুই হয় নতুন দিয়ে। আমি নিজের পরিশ্রম ও মেধার বলে ব্যাবসার মাধ্যমে আমার যেই সম্পদ করেছি তা আপনার ভাষ্য মতে নতুন পয়সা ওয়ালা হলেও গর্বের বিষয়, কারণ এটা আমি নিজ যোগ্যতায় হয়েছি। কোন অসৎ উপায়ে নয়।
আমার নিজের কি কি সম্পদ আছে তা তো সরকারের জানা, আমার বৈধ সম্পদের কর নিয়মিত প্রদান করি। আমার আয়কর প্রদানের সার্টিফিকেট আছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ করেছেন : মাদক নিয়ন্ত্রণ বা মাদকের সাথে যদি আমি জড়িত থাকতাম তাহলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। আর আমার যে তালিকায় নাম আছে সেটা প্রমাণ দেখানোর দাবী জানাচ্ছি। আমি তো সামান্য ধূমপানও করি না।
মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর বলেছেনঃ আমি নিজে ছাত্র জীবন থেকেই গভীর নলকূপ, ঘর ও রাস্তা নির্মাণ সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০০ ঘর নির্মাণ প্রকল্প ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্প গুলি এখনো চলমান আছে। এসবের কারণে সাধারণ মানুষ আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে চায়। তারা চায় আমার মত সৎ ও জনদরদী মানুষ জনপ্রতিনিধি হলে সমাজের আরো উন্নয়ন হবে।
আমি আপনাদের কাছে এবং অপপ্রচারকারিদের বলতে চাই, আপনারা এসব করে দলের ক্ষতি না করি আসুন এইসব ছেড়ে মানুষের জন্য রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতি করি। আমি আবারো বলতে চাই আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করি না। কারণ বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনাও কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত বা আপোষ করেন নাই।
Leave a Reply