সম্প্রতি দেশটির সরকারের দেয়া নতুন অধ্যাদেশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এসব তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইতালির একাধিক গণমাধ্যম।
এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালি সরকার বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ ১৬ টি দেশের সাথে বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করলেও যেসব প্রবাসীরা ইতালিতে চাকরি করতেন এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়ে নিজ দেশে ছুটি কাটাতে গিয়ে করোনা মহামারির কারণে ফিরতে পারেননি। তাদের এখন থেকে ইতালি ফিরতে আর কোন বাধা থাকবেনা। অর্থাৎ কোন প্রবাসীর যদি ইতালিতে কাজের চুক্তিপত্র (কন্ট্রাক্ট) চলমান থাকে তাহলে তারা এখন থেকে ইতালি ফিরতে পারবেন।
এছাড়াও ইতালিতে যেসব প্রবাসীরা ট্রেড লাইসেন্সসহ বৈধ ব্যবসা করতেন, এমন কোন ব্যবসায়ী বর্তমানে নিজ দেশে আটকা থাকলে নতুন অধ্যাদেশের আইনানুযায়ী ইতালি ফিরতে পারবেন।
এছাড়াও ইতালির বৈধ কাগজধারী কোন প্রবাসী যদি পূর্বে দেশটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বর্তমানে ইতালিতে তার চিকিৎসা প্রয়োজন এমন কেউ যদি বর্তমানে বাংলাদেশে আটকা থাকে তবে তারাও এখন থেকে ইতালিতে ফিরতে পারবেন।
এছাড়াও কোন প্রবাসী যদি ইতালির কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অবস্থায় থাকে এবং বর্তমানে সে তার নিজ দেশে অবস্থান করছেন।
এক্ষেত্রে এসব শিক্ষার্থীরাও ইতালিতে ফিরতে পারবেন।
তবে সকল প্রবাসীদের ইতালিতে প্রবেশের জন্য বৈধ কাগজের মেয়াদ থাকতে হবে। যাদের কাগজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ঢাকাস্থ ভিএসএফ গ্লোবাল থেকে রি-এন্ট্রি ভিসা নিতে হবে কি হবে না তা জানার জন্য অপেক্ষা করুন৷
এছাড়াও ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অটো সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে সাথে নিয়ে যেতে হবে। যেটা ইতালি ইমিগ্রেশনে জমা দিতে হবে।
উপরোক্ত জরুরী কারন দেখিয়ে যারা ইতালিতে প্রবেশ করবেন তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারান্টাইন মেনে চলতে হবে৷ কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড শেষ হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় মুভমেন্ট করতে পারবেন৷
এছাড়াও পূর্বে পরিবারের সদস্যদের ইতালি ফেরার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। উল্লেখ্য, করোনার কারণে টানা দুই মাস যাবত বাংলাদেশসহ ১৬ টি দেশের সাথে বিমান চলাচল বন্ধ রাখে দেশটির সরকার।
Leave a Reply