মোঃ নুরুজ্জামান শেখ টঙ্গী গাজীপুরঃ গাজীপুর টঙ্গীতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে টঙ্গীর রেলওয়ে স্টেশনে আবাসিক হোটেল ও গ্রেষ্টহাউস গুলোতে বিভিন্ন বয়সের নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই । আবাসিক হোটেল গুলো এখন পতিতালয় বললেই চলে,
বিশেষ করে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন নতুন বাংলা বোডিং ( হাবিব বোডিং) বিক্রমপুর আবাসিক হোটেল প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে নতুন বাংলার বোডিং এর ভাড়াটিয়া নেত্রকোনা জেলার মাটি, বোডিং মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব ও বিক্রমপুর আবাসিক হোটেলের ভাড়াটিয়া সহিদ ও কাজলের নেত্বিতে চলেছে রমরমা যৌনব্যবসা। হোটেল দু’টির পাশেই টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী দুটি মসজিদ। হোটেলের এক কর্মচারীর তথ্য মতে, অনেক সময় শহর ও জেলার বাহিরের কলেজের ছেলে মেয়েরা আনন্দ উল্লাসের জন্য হোটেলে আসে এবং সেই সুত্রপাত থেকে মেয়ে যৌন কর্মীর সন্ধান পাওয়া যায় কখনও বা যৌন কর্মিরাই মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে থাকে।
সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনের চোখে অপরাধী হলেও সময়ের স্রোতে যেন ভেসে যাচ্ছে সব অন্যায় সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা জানাচ্ছেন, বর্তমান প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছুদিন নিয়ন্ত্রণ থাকলেও পূনরায় আবারও চালু হয়। কিছু মহলকে উৎকোচ দিয়ে এই যৌন ব্যবসা চলছে বলেও স্বীকারোক্তি হোটেল কতৃপক্ষের।
হোটেলে যেসব যৌন কর্মীরা আসে তারা জানান পরিবারের অভাব অনটন এবং না না সমস্যার কারণে দালালদের মাধ্যমে এই পথে আশা,আমরা তেমন বেশি টাকা পাইনা, লাভ হয় হোটেল মালিকদের আমরা ১ বার কাজ করলে পাই ৮০থেকে ১০০ টাকা, হোটেল মালিক খদ্দেরের নিকট থেকে টাকা নেন ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।
হোটেল দু’টির পাশেই টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী দুটি মসজিদ, নোয়াগাও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টঙ্গী রেলওয়ে জংশন।
স্কুলের ছেলে মেয়েদের বোডিং দুইটির সামনে দিয়েই নিয়মিত চলাচল করতে হয়।
অভিভাবকরা জানান স্কুলে ছেলে মেয়ে পাঠালে ভয়ে থাকতে হয় কখন কে কি বলে।
অনৈতিক এসব কার্যকলাপ মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে জানায় সুশীল সমাজের নাগরিকরা।
Leave a Reply