অদ্য ০৪-১১-২০২০ খ্রিঃ সকাল ০৮:২০ ঘটিকায় দুমকি থানাধীন পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কচাবুনিয়া এলাকার লোকজন রাস্তা সংলগ্ন ধানক্ষেতে একটি গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে দুমকি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। দুমকি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বর্ণিত লাশ ও লাশের পাশে থাকা ০২টি রক্তমাখা ছুরি (প্লাস্টিকের হলুদ কালারের বাটযুক্ত স্টেইনলেস স্টিলের) উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি তাদের পিতা মোঃ আনোয়ার হাওলাদার(৫২), পিতা: মৃত লালু হাওলাদার, সাং-পাড়কার্তিকপাশা, থানা: দুমকি, জেলা: পটুয়াখালী মর্মে সনাক্ত করেন। মৃত ব্যক্তি পেশায় একজন অটো চালক। গত ০২-১১-২০২০ খ্রিঃ রাত ২১:৩০ ঘটিকা হতে তিনি নিখোঁজ হন। উক্ত ভিকটিম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান, পিপিএম এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল ভিকটিমকে উদ্ধার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য যে, ০৩-১১-২০২০ খ্রিঃ সকাল ০৭:০০ ঘটিকায় গলাচিপা থানাধীন হরিদেবপুর এলাকায় রবিউল সিকদার(২২), পিতা: ইউনুস শিকদার এবং রাজিব বেপারী(২৫), পিতা: শাহজাহান বেপারী, উভয় সাং-মৌকরণ, থানা ও জেলা: পটুয়াখালী একটি চোরাই অটো বিক্রির চেষ্টাকালে বিশ্বস্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের চৌকস টিম তাদের গ্রেফতার করে। অটোরিকশার মালিককে খুঁজতে থাকার এক পর্যায়ে দুমকি থানাধীন পাড়কার্তিকপাশা গ্রামের মোঃ আনোয়ার হাওলাদার অটোরিকশা সহ নিখোঁজ রয়েছে মর্মে জানা যায়। তার ছেলে উক্ত অটোরিকশা ও চোরের কাছে থাকা একটি মোবাইল তার বাবার বলে সনাক্ত করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম(২৭) বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে দুমকি থানার মামলা নং- ০২; তারিখ- ০৩/১১/২০২০; ধারা: ৩২৮/৩৭৯/৪১১/৩৪ পিসি রুজু হয়।
ধৃত আসামিদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ০২-১১-২০২০ খ্রিঃ রাত ২১:৩০ ঘটিকায় দুমকি থানাধীন পাগলার মোড় থেকে তারা দুজন অপর সহযোগি মোঃ সবুজ(৩০), পিতা: শানু আকন, সাং-গলাচিপা, জেলা: পটুয়াখালীসহ উদ্ধারকৃত অটো চালক মোঃ আনোয়ার হাওলাদার এর অটোটি দুমকি থানাধীন ধোপারহাট যাওয়ার কথা বলে রিজার্ভ করে। তারা পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কচাবুনিয়া এলাকায় পৌঁছে অটো চালকের চোখে মুখে মলম লাগিয়ে অচেতন করে রাস্তা সংলগ্ন ধানক্ষেতে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে এবং মৃতদেহ ফেলে তারা দুজন অটো নিয়ে গলাচিপা থানা এলাকার হরিদেবপুরে চলে যায় এবং অপর সহযোগি সবুজ অন্যত্র পালিয়ে যায়। অটোরিকশাটি বিক্রির এক পর্যায়ে জেলা পুলিশের চৌকস টিমের নিকট দুই হোতা ধৃত হয়। অটোরিকশাটি উদ্ধার সহ ভিকটিমের ব্যবহৃত সিম্ফনি-L5 মডেলের মোবাইলটি উদ্ধার হয়। অদ্যই ধৃত দুজকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply