আজ 14 ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস।
এমন দিনে স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে খুলনা বিভাগীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র জনাব তালুকদার আবদুল খালেক, বিশেষ অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হোসেন আলী খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতি রুহুল আমিন দাঃ বাঃ শাইখুল হাদিস, চেয়ারম্যান, গওহর ডাঙ্গা মাদ্রাসা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান, ডঃ মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ, (স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক খুলনা), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তাফসির বিভাগের প্রধান জনাব আবু সালেহ পাটোয়ারী, 14 নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিভাগীয় পরিচালক জনাব শাহিন বিন জামান।
প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনা সিটি এর মেয়র জনাব তালুকদার আব্দুল খালেক উক্ত অনুষ্ঠানে সর্বপ্রথম জাতির সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নিন্দা জানান। এরপর Covid19 সম্পর্কিত বিশেষ আলোচনা পেশ করা হয় যেখানে প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক বিষয় নিয়ে আলোচনা। বর্তমান সময়ে প্রধান প্রতিরোধক হিসেবে মাস্ক কে বেশি পরিমাণ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং এখানে স্বাস্থ্যবিধি শিথিলতা যে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ সে সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিরোধক হিসেবে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এ সম্বন্ধে বলা হয়েছে। ইমামদেরকে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য জনগণকে যাবতীয় সচেতনতার জ্ঞান দেয়া এবং এই বিষয়ে বিশেষভাবে দিকনির্দেশনা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে ইমাম পরিষদের সোনাডাঙ্গা থানার সভাপতি এসএম নাজমুস সউদ বলেন, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে সবচেয়ে বেশি যার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ইমামের উপরে। কারণ শতকরা 97 পার্সেন্ট মুসলমানদের দেশে যেখানে সবাই জুমার নামাজ পড়তে যায়। সেখানে এই আলোচনা পেশ করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যে আবার পুনরায় অ্যাওয়ারনেস তৈরি করবেন এবং আপনারা প্রত্যেকেই হচ্ছে যার যার জায়গায় দায়িত্বশীল। এখানে সরকারি আইন পদক্ষেপ তো অবশ্যই নেয়া হচ্ছে, হবে। এবং এই আইন প্রয়োগ শুধু সরকারেরই দায়িত্ব নয় আপনাদের সকলের দায়িত্ব। কারণ সরকার সবার। এখানে জাতিকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ মুক্ত করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি এবং এগুলোর ক্ষেত্রে সহনশীলতার ব্যাপারে ইমামদেরকে বলা হয়েছে। আরো আলোচনা করা হয়েছে যে ইমামরা কখনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন করতে পারে না। ইমামরা কখনো জঙ্গিবাদে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। মুসলিমরা কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না এবং থাকবেও না। এখানে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে আই এস এর কেউ অসুস্থ হলে ইসরাইলে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। ইজরাইলেই যদি চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তারা কোন সংগঠনের লোক সেটাও বোঝা যায়। আর আলেমরা কখনো সন্ত্রাসবাদ এ যুক্ত নয়। জেএমবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন সর্বপ্রথম আলেমগণ। আই এস সৃষ্টি রহস্য হলো এটা হচ্ছে একটা খ্রিস্টান-চক্রান্ত। এই জঙ্গিবাদ হিযবুত তাহরীর বা এই ধরনের বিভিন্ন দলের।তাদের এই মিশন নিয়ে আলেমদের টার্গেট করে এদের বিরুদ্ধে ফতোয়া ও দাওয়াত নিয়ে যান এবং সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্বশীল যারা আছেন তাদের সন্তানদেরকে টার্গেট করে তারা তাদের এই মিশন পরিচালনা করে। এই কারণে যারা দায়িত্বশীল আছেন তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। এবং বলা হয়েছে যে প্রোঅ্যাক্টিভলি কথা বলতে হবে রি অ্যাক্টিভলি কথা বলা যাবে না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এই রাষ্ট্র সকলের, তাই সকল কাজ সকল কেই করতে হবে। সকলেই যদি কাজ করে তাহলে এই কাজগুলো সহজ হয়ে যাবে। Covid19 এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ইউরোপ-আমেরিকাতে যেই পরিমাণ মানুষ মারা যাচ্ছে বাংলাদেশে তার হার অনেক কম। তাই আমরা এখন থেকেই সতর্ক হয়ে যাই।বাংলাদেশের এই করোনা মোকাবেলায় দাফনে বা কোন সমস্যায় সর্বপ্রথম ইমামরাই সামনে এগিয়ে এসেছেন তা সম্পর্কে বাইরের বিভিন্ন পত্রিকা বা সাময়িকীতে ও প্রকাশ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী তে শতখানা বই প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত করার লক্ষ্যে যথাযথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এবং এভাবেও বলা হয়েছে যে প্রত্যেকটি জেলাতে পাইলিং করে মাদক মুক্ত করা হবে আর ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহযোগী হিসেবে অবশ্যই থাকবে। সিটি মেয়র বলেন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস দরকার হলে পিটিয়ে সোজা করা হবে। এখানে আরো বলা হয়েছে যে ধর্ম হলো কল্যাণ কামনায়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় সরকারএর অতিরিক্ত সচিব জনাব হোসেন আলী খন্দকার। প্রধান অতিথি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, এছাড়াও হজরত মাওলানা নাসিরুদ্দিন কাসেমী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ডঃ মোঃ আব্দুস সালাম পাটোয়ারী, বিভিন্ন জেলার ইমাম ও খতীবগন প্রমুখ।
দৈনিক আজকাল (ই,স)
Leave a Reply