সোহাগ মোল্লা পেশায় একজনবসরকারী চাকুরিজীবী। এসেছেন তরমুজের দোকানে। পসরা সাজানো তরমুজের মাঝে পছন্দের ফলটি নিতে দ্বিধাবোধ করছেন। তিনি জানান, ইতোঃপূর্বে তিনি তরমুজ কিনে ঠকেছেন। বেশ বড় আকৃতির তরমুজ ২৪৫ টাকার বিনিময়ে কিনে বাড়ীতে নিয়ে দেখেন ভেতরে লবনের ঝাঁঝ, খেতেও লবানক্ত। সাথে আছে ঝাঁঝালো গন্ধ। বুঝতে পারলেন তরমুজটিতে ক্যামিক্যাল এর উপস্থিতি রয়েছে। তাই এবারও তিনি ক্যামিক্যালএর উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অত্র মহানগরীতে আসতে শুরু করেছে সব রকম মৌসুমি ফল। তরমুজ এসেছে বহু আগেই। মৌসুমি তরমুজে সয়লাব হয়ে গেছে প্রতিটি ফুটপাত, বাজার থেকে শুরু করে ছোট কল বিক্রির দোকানে, শহরে ভ্যানে করে, অলিতে-গলিতেও তরমুজ বিক্রি করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তীব্র গরমের কারনে বাজারে তরমুজের কদর খুব। মৌসুমী হওয়ায় এখন দামটা একটু বেশি। তবে মানুষ বেশি দাম দিয়েই সেগুলো কিনছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। অসাধু উপায়ে পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
ফল ব্যবসায়ীরা জানান, এখন রাসায়নিক পদার্থ মেশানো শুরু হয় ফল গাছে থাকতেই। গাছের উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে প্রথমে দেয়া হয় ‘প্ল্যান্ট গ্রোথ রেগুলেটর হরমোন’। অপরিপক্ব ফল সংরক্ষণ করে রাখা হয় বদ্ধ ঘরে। তারপর চলে দুই পর্যায়ে রাসায়নিক ব্যবহার। এর একটি সোডিয়াম কার্বাইড, অপরটি ফরমালিন। সোডিয়াম কার্বাইড মূলত ব্যবহার করা হয় পাকাতে। আর ফরমালিন মেশানো হয় পচন রোধে। সিরিঞ্জ দিয়ে তরমুজের ভেতরে দেয়া হয় তরল পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট। এর ফলে তরমুজের ভেতর থাকে লাল টকটকে। সাথে দেওয়া হয় কিছুটা খাবার লবন। এতে তরমুজের ভেতরে বেশি পরিপক্ব মনে হয়। এভাবে কৃত্রিম উপায়ে তরমুজের ব্যবসা জমজমাট। এর কারনে মানব শরিরে ধীরেধীরে বাসা বাধতে পারে বিভিন্ন রোগ, তাই এ ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ প্রশাসন এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Leave a Reply