আজ শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে আবারও । শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী, কাল শনিবার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির ঘোষণা ছিল।করোনার সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পরিছন্নতা এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশও দেয়া হয়েছিল । স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্বে বজায় রেখে সীমিত পরিসরে পাঠ্যকার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতিও চলছিল। একই সঙ্গে একটি গাইডলাইন প্রকাশও করে মাউশি। কিন্তু আজ ছুটি আরও বাড়ানো হলো।দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। করোনার সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। এই ছুটি কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ এই ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো।ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম চলমান আছে এবং থাকবে বলে জানা যায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছাত্রছাত্রী। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির কিছু বেশি। আর কলেজে মোট শিক্ষার্থী প্রায় অর্ধকোটি। বাকি শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা, মাদ্রাসা, ইংরেজি মাধ্যমসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে।
করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তায় পতিত হয়েছে ।বন্ধ হয়ে আছে বিভিন্ন শ্রেণীর পরীক্ষা ও কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীসহ এইস.এস.সি ও এস.এস.সি পরিক্ষার্থীদের পরীক্ষা এবং ভবিষ্যৎকার্যক্রম এখনও অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি অনীহা, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার, বাল্যবিবাহের হার,কিশোর অপরাধীর এবং শিশু শ্রমিকের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যেরেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার হার। সংসদ টিভি, অনলাইন, রেডিও এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও বাস্তবে ৬৯ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই এই ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারেনি। বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
Leave a Reply