বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ মেলায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পাইকারি মাছের আড়ত, মেলাটি মাছের জন্য বিখ্যাত।
পোড়াদহ মেলার মাঠের ও রাস্তা ঘেঁষে খাজা বাবা, ছয়তারা, বিসমিল্লাহ, মায়ের দোয়া, ভাই ভাইসহ ১০টির মতো বড় দোকান আড়ত বসেছে।
বিকাল ৩টা পর্যন্ত এসব আড়তে পাইকারি দর হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মাঝারি ও বড় আকারের প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়েছে। এ বছর মেলায় সর্বোচ্চ মাছ আমদানি করেছেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে বাঘাইড়, গাঙচিল, চিতল, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, হাঙড়ি, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, কালিবাউশ, পাঙ্গাস মাছ অন্যতম।
মেলায় বেশ কয়েকজন আড়তদার বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ মেলা শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ আগ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ মেলাকে সামনে রেখে মাছ কেনা শুরু করেন। এসব মাছ তারা সংরক্ষণ করেন। মেলা শুরুর একদিন আগে এসব পাইকারি ব্যবসায়ী ছোট-বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মেলায় মাছ নিয়ে আসেন।
মেলা উপলক্ষে পুথির তৈরি মালা, কানের দুল, নাক ফুলের দোকানও বসেছে। -উত্তর অঞ্চলের খবর
মাছ আড়তের মালিক শুকরা শাকিদার জানান, তিনিসহ অন্য আড়তদাররা ভোর ৪টা থেকে পাইকারি মাছ বিক্রি শুরু করেন। সকাল ৫টার মধ্যে তিনি মাঝারি ও বড় আকারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এরমধ্যে ৫-১৫ কেজি ওজনের মাছ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি। সবচেয়ে বড় মাছের ওজন ছিল ৭২ কেজি। পনের’শ টাকা কেজি দরে মাছটির মূল্য ছিল ১ লাখ ৮ হাজার টাকা।
আগে গোলাবাড়ি-সারিয়াকান্দি সড়কের আগে বসতো এ মেলা। কিন্তু গেলো কয়েক বছর ধরে এ মেলা বসছে রাস্তার পশ্চিমে। বিগত বছরগুরোর তুলনায় এবার মাছও কম বলে মন্তব্য করেন মেলার মাছ কিনতে আসা অনেক ক্রেতা।
Leave a Reply