ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (৮ মে) দুপুর ১২ টার উপজেলা সদর বাজারের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব। এতে উপজেলায় কর্মরত সকল গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন। এর আগে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোরাদ হোসেন তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার বিশ্বাস ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু সাংবাদিকদের ওপর যখন নির্যাতন, হামলা ও হয়রানি করা হয় তখন সমাজ ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। সাংবাদিকরা তাদের ক্ষুরধার কলমের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সাংবাদিক সেকেন্দার আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেন আগামীতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাংবাদিক সেকেন্দার আলম বাড়িতে ইফতার শেষে মোটরসাইকেল যোগে পবনবেগ যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হঠাৎ তার মুঠোফোনে একটি কল আসে। তিনি গাড়িটি থামিয়ে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকেন। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন দিক থেকে এক দল দুর্বৃত্ত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পথচারীরা দেখতে পেয়ে তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সাংবাদিক সেকেন্দার আলম আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি সাপ্তাহিক ‘আমাদের আলফাডাঙ্গা’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
এছাড়া এই হামলার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। একইসঙ্গে তারা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও চেয়েছেন।