মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের ছেলের বাড়িতে প্রেমিকার বিয়ের দাবিতে অনশন রয়েছেন। উক্ত এলাকার মোনছের বেপারীর বিদেশ ফেরত ছেলে রেজাউল বেপারী প্রেমিকা সূর্য রেখা এ অনশন করেন।

ভুক্তভুগী, স্থানী লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কালকিনি থানার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরউদ্দির চর গ্রামের গফুর হাওলাদের মেয়ে রেখা। প্রেমিকা সূর্য রেখা সাথে প্রায় ১৫ বছরের সম্পর্ক চলছে রেজাউল বেপারীর সাথে। প্রেমিক রেজাউল বেপারী ২০০৯ সালের শেষের দিকে কাজের উদ্দেশ্য সাউদ আফ্রিকা যাওয়ারও দুই বছর আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দু জনের মধ্যে।
অভিযুক্ত রেজাউল বেপারী বিদেশে প্রায় ১৩ টি বছর অতিবাহত করলেও তাদের সম্পর্ক ছিল অমলিন। প্রতিদিনই তাদের দু জনের মধ্যে যোগাযোগ হত মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে। রেজাউল যখন দেশে আসবে তখন বিয়ে করবে এমনটাই ওয়াদা দিয়েছিল বলে জানান ভুক্তভুগী সূর্য রেখা কিন্তু গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর ) রেজাউল বেপারী প্রায় ১৩ বছর পর দেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরে ঠিকই কিন্তু রেখার সাথে আর কোন যোগাযোগ করেনি। রেখা তার ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অভিযুক্ত রেজাউলের বাড়িতে গিয়ে ওঠে ততক্ষনে প্রতারক রেজাউল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে রেখার ভাই কালকিনি থানা পুলিশের উপস্থিতে রেখাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আজ সেই ঘটনার সূত্র ধরে রেখা আবার রেজাউলের বাড়িতে যায়।রেজাউলের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় এতে করে বাড়ির লোকজন সহ সঙ্কিত হয়ে পড়ে পুরো এলাকার লোক জন। রেখা বিয়ের দাবিতে অনশন করে। পরে দরজা খুললে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন ভুক্ত ভোগী রেখাকে বেদম মারধরে করে। রেখার নাক ফেটে রক্ত বের হয়। এদিকে গত দুই দিন ধরে অভিযুক্ত রেজাউল বেপারী পলাতক রয়েছে।

অভিযুক্ত রেজাউলের বাবা মোনছের বেপারী বলেন আমরা কোন ভাবেই পারিবারিকভাবে এই মেয়েকে মেনে নিতে পারবো না। যার সাথে সম্পর্ক করেছে তার কাছে যাক।

ভুক্তভোগী রেখা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরে ধরে আমার সাথে সম্পর্ক। রেজাউলের পরিবারের সবাই জানে। আমার কোন বিয়ের প্রস্তাব রেজাউল আসতে দিত না। প্রতিদিন সে আমাকে বিদেশে বসে ফোন দিত। আমাকে বিয়ের করার প্রতিসূতি দিয়েছে সে। কিন্তু দেশে আসার পর থেকে আর তাকে খুজে পাচ্ছি না। আজ তার বাড়িতে আসলে তারা সবাই মিলে আমাকে প্রচন্ড মারধর করে। রেজাউল কে না পেলে আমি এ বাড়ি থেকে যাব না। তাকে না পেলে আমি আত্ম হত্যা করবো ।

কালকিনি থানার এস আই শাখাওয়াত জানান গত মঙ্গলবার ৯৯৯ থেকে ফোন আসে এ বিষয়ে। পরে দ্রুত ঘটনা স্থলে চলে যাই গিয়ে দেখি রেখা নামের এক তরুনি রেজাউল বেপারীর বাড়ি অবস্থান করছে। পরে রেখার পরিবারের লোকজন এসে আমাদের উপস্থিতে তাকে নিয়ে যায় এর পর আর কিছু আমার জানা নেই।