রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রমজানপুর বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মামুন বেপারী। রাজাপুরে মায়ের চোখের সামনে ট্রলি চাপায় শিশু ছাত্রী নিহত মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নবনির্বাচিত চেহারমান মোঃ মিল্টন ইব্রাহিমের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালী কালকিনির সিডিখানে বোমা বিস্ফোরনে শিশু-নারী আহত কালকিনিতে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কলাপাড়ায় হাইব্রিডদের দখলে আওয়ামীলীগের ঘর,বিপাকে ত্যাগী নেতাকর্মীরা মাদারীপুরে দুই স্বেচ্ছাসেবী কর্মীকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উজিরপুরে ডিবির অভিযানে প্রায় দুই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার চিত্র নায়িকা পরিমনির সাথে ডিবি কর্মকর্তার,প্রেম সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শেখ কামালে’র জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

অলিম্পিকে নগ্নতা: প্রাচীন যুগের মত অ্যাথলিটরা নগ্ন হয়ে প্রতিযোগিতায় নামলে কী ঘটতে পারে?

মোঃ রফিকুল ইসলাম সাগর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট: শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ | খবরটি 
  • ৭৭৬ বার দেখা হয়েছে

প্রাচীন গ্রিসে অলিম্পিকসে প্রতিযোগীরা নগ্ন হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন
প্রাচীন গ্রিসের একটি গল্প আছে যে ৭২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এক অলিম্পিকসের একটি প্রতিযোগিতায় দৌড়ানোর সময় একজন অ্যাথলিটের কোমরের নেংটি খুলে গিয়েছিল।
কিন্তু অর্সিপাস নামে ওই অ্যাথলিট তার লজ্জা ঢাকতে ১৮৫ মিটারের দৌড় বন্ধ করেননি, বরং নগ্ন অবস্থাতেই শেষ অবধি দৌড়িয়ে সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন। এর পর থেকেই সেই গল্প বিখ্যাত হয়ে যায়।
প্রাচীন গ্রিসে এক সময় নগ্ন অ্যাথলিটিক প্রতিযোগিতা দারুণ জনপ্রিয় ছিল। অ্যাথলিটরা সেসব প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতেন গায়ে প্রচুর জলপাইয়ের তেল মেখে – যাতে তাদের দেহের পেশী আরো ফুটে ওঠে।
নগ্ন অ্যাথলিটকসকে তখন দেখা হতো দেবতা জিউসের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন হিসেবে।
“অর্সিপাসের ঘটনাটা প্রথম দেখা হতো তার বীরত্ব এবং বিজয়ের দৃষ্টান্ত হিসেবে – কিন্তু তার পরে তিনি যে নগ্ন ছিলেন – এটারও বন্দনা শুরু হয়ে গেল” – বলছিলেন আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক সারাহ বণ্ড।
“গ্রিকদের কাছে তাদের গ্রিক আত্মপরিচয় এবং সৌজন্যের স্বীকৃতির একটা নিদর্শনে পরিণত হলো এই নগ্নতা।

তবে ১৮৯৬ সালে যখন আধুনিক অলিম্পিকসকে পুনরুজ্জীবিত করা হলো, তখন অবশ্য মানুষের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গী অনেক পাল্টে গেছে।

সেই অলিম্পিকের আয়োজকরা কল্পনাও করেননি, নগ্ন অবস্থায় প্রতিযোগিতার সেই গ্রিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা।
তা ছাড়া আধুনিক অ্যাথলিটিক প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের পোশাক একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও পালন করে।
এখন দৌড়বিদরা যে জুতো পরেন তা এমনভাবে তৈরি যে তা তাদের পা হড়কে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে, এবং রানারদের গতিসঞ্চারে সহায়তা করে। সাঁতারুরা যে পোশাক পরেন – তা তাদের পানি কেটে এগিয়ে যাওয়া আরো সহজ করে দেয়। তা ছাড়া আঁটোসাঁটো পোশাক বাতাসের বাধা কাটাতে সহায়ক হয় – যাকে বলে ‘ড্র্যাগ’।
এবার টোকিওতে যে অলিম্পিকস হচ্ছে তা নানা দিক থেকে অনন্য, যার এর একটা কারণ অবশ্যই কোভিড-১৯ মহামারিজনিত বিধিনিষেধ।
কিন্তু ধরুন, যদি অলিম্পিক আয়োজকরা ভাবতেন যে তারা প্রাচীন গ্রিক অলিম্পিক ঐতিহ্যের সেই নগ্নতাকে ফিরিয়ে আনবেন – তাহলে কী ঘটতে পারে?
এটা অবশ্যই বলতে হবে যে, এখন কেউই নগ্ন অলিম্পিক ফিরিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছে না।
মাস্ক, কোয়ারেন্টিন এবং লালা পরীক্ষার জালে ব্যতিক্রমী টোকিও অলিম্পিকস
টিভি আর সামাজিক মাধ্যমের যুগে নগ্ন প্রতিযোগীদের প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগতে হবে
কিন্তু যেটা ভাবার বিষয় তা হলো, এরকম কিছু হলে অ্যাথলিটিকস প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক রীতিনীতি, লিঙ্গবৈষম্যবাদ এবং আরো অনেক গুরুতর বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতো।

কী সেই প্রশ্নগুলো?
শুধু লজ্জা নিবারণ নয়
প্রথমেই যেটা মনে আসবে যে নগ্ন অবস্থায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নামলে অনেক প্রতিযোগীর ক্ষেত্রেই বেকায়দায় পড়ার মত কিছু সমস্যা দেখা দেবে।
আধুনিক প্রতিযোগীরা অনেক খেলাতেই তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন প্রায়-নগ্ন অবস্থাতেই। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের পরনে থাকে শুধু জাঙ্গিয়ার মত ছোট স্প্যানডেক্স ।
অ্যাথলিটদের কিছু কিছু পোশাক আছে, যার একটা প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, মেয়েদের স্তন এবং পুরুষদের যৌনাঙ্গকে জায়গামত আটকে রাখা।
“এ নিয়ে বেশি খোলাখুলি কিছু বলার দরকার নেই, তবে এ্যাথলেটদের পোশাক অন্তত এই স্বস্তিটা দিতে পারে” – বলছেন শন ডিটন, নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল প্রটেকশন এ্যান্ড কমফর্ট সেন্টারের বিশেষ প্রকল্প পরিচালক।
অন্যদিকে এই আরাম ছাড়া অ্যাথলিটিকসে একজন ক্রীড়াবিদের পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে তার পোশাক আর কী ভুমিকা রাখতে পারে তা ততটা স্পষ্ট নয়।
আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের অধ্যাপক ওলগা ট্রয়নিকভ বলছেন, এটা আসলে নির্ভর করে পোশাকটা কী, তা অ্যাথলিটের দেহের সাথে কতটা মানিয়েছে এবং খেলাটা কী – তার ওপর।
মিজ ট্রয়নিকভ বলছেন, এ্যাথলেটের জন্য পোশাক যা করে তাহলো, তার দেহকে একটা বাঁধুনি দেয় – যার ফলে এ্যাথলেট যা করছেন সেদিকে তার পেশীর শক্তিকে আরো ভালোভাবে সঞ্চালিত হতে পারে।
যেমন ভারোত্তলনের ক্ষেত্রে একজন ওয়েটলিফটারের বেল্ট এবং তার পোশাক – তার পেশীকে স্থিতিশীল করে – যার ফলে তার শক্তি আরো ভালোভাবে তার কাজের দিকে চালিত হয়। এ পোশাকের অভাবে তার পারফরমেন্সের ক্ষতি হতে পারে।
অন্যদিকে ক্রীড়াবিদের পোশাক যদি অত্যন্ত মসৃণ হয় তাহলে তা বাতাস বা পানির মধ্যে দিয়ে যাবার সময় যে রেজিস্ট্যান্স বা বাধার সৃষ্টি হয় – তা কমিয়ে এ্যাথলেটকে সহায়তা করতে পারে।
সাইক্লিস্টরা এ জন্য তাদের পায়ের লোম কামিয়ে ফেলে এবং এমন ধরনের অতি-আঁটোসাঁটো পোশাক পরে – যাতে বাতাসের সংঘর্ষজনিত বাধার পরিমাণ অনেক কমে যায়।
‘টেকনিক্যাল ফ্যাব্রিক’ এবং তার ডিজাইন
পোশাক থেকে অ্যাথলিটের সুবিধা পাবার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত দেখা যায় সাঁতারের ক্ষেত্রে।
তবে ওলগা ট্রয়নিকভ বলছেন, সুইমিংএর ক্ষেত্রে একসময় প্রায় এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল যে এটি মানবদেহের এ্যাথলেটিক নৈপুণ্যের চাইতে ইঞ্জিনিয়ারিংএর প্রতিযোগিতায় পরিণত হবার উপক্রম হয়েছিল।

  • বীচ ভলিবলের মত কিছু প্রতিযোগিতায় পোশাকের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম আছে:
    এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি হৈচৈ হয় ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের সময়। সেই অলিম্পিকসে সাঁতারুরা মোট ২৫টি বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছিলেন, আর তার মধ্যে ২৩টি ভেঙেছিলেন এক বিশেষ ধরনের পুরোনো পোশাক পরে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *