1. almasbepary52@gmail.com : Almas Bepary : Almas Bepary
  2. musafirmostofa2@gmail.com : Nazmul Hossain : Nazmul Hossain
  3. rajkutir17@gmail.com : Abu Sayed : Abu Sayed
  4. admin@ajkalbd.news : Admin : Admin
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ব্রেকিং নিউজ:

জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এক সফল ইউপি চেয়ারম্যানের গল্প ।।

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৬৮৩ বার পড়া হয়েছে

দলমত নির্বিশেষে সকলেরই যেনো জনপ্রিয় একটি নাম কামরুল আহসান চৌধুরী। সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও শিক্ষিত পরিবারে তাঁর জন্ম। শিক্ষার দিক দিয়ে বলতে গেলে পূর্ব পুরুষ সবাই শিক্ষিত। পূর্বে এক শত প্রজন্ম ও পরের প্রজন্ম কোথাও সু-শিক্ষার কোনো কমতি নেই।

পরিচয়: তাঁর দাদার বাবা মৌলভী আব্দুল লতিফ চৌধুরী কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা হইতে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করেন।তাঁর দাদা সেকান্দার আলী চৌধুরী কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা হইতে কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হন। তাঁর বাবা মাওলানা মাহবুব চৌধুরী শরসিনা আলীয়া মাদ্রাসা হইতে কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৬৪ সালে ভোলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মির্জাকালু মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে প্রথম বিভাগে এস এস সি পাশ করেন। ভোলা সরকারী কলেজ হতে আইকম ও বিকম পাশ করেন।
‌তাঁর নানা কাজী মোঃ আব্দুল ওয়ারেজ ছিলেন ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদীর কোরালিয়ার নিবাসী। তিনি ছিলে জমিদার।
‌তাঁর মাতা মরহুমা কাজী আরজুমান আরা বেগমের একাডেমিক কোন সনদ না থাকলেও তিনি আরবী, ইংরেজী ও বাংলায় ছিলেন যথেষ্ঠ পারদর্শী।

‌তাঁর বড় বোন “জগন্নাথ কলেজ” (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) হতে ইংরেজীতে এম এ পাশ করেন।

‌ তাঁর ছোট বোন সমাজ কল্যানে এমএ পাশ করেন।

‌তাঁর সহধর্মিণী ইসলামের ইতিহাসে এমএ পাশ করেন।
‌তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর ছেলে এইচএসসি পাস করে এখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির অপেক্ষায়। কন্যা দুটি নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

‌তাঁর নিজের শিক্ষা জীবন: তিনি মির্জাকালু হাই এটাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে মির্জাকালু মাধ্যমিক বিদ্যালয় হইতে কৃতিত্বের সহিত এসএসসি পাস করেন। বোরহানউদ্দিন আব্দুল “জব্বার মহাবিদ্যালয়” বর্তমান (সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ) হইতে এইচএসসি পাস করেন। ভোলা সরকারী কলেজ হইতে বিকম পাস করেন। তিনি জগন্নাথ কলেজ (বতর্মানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) হইতে একাউন্টিং বিষয়ে এম কম পাস করেন।

‌বাংলাদেশের খ্যাতিমান চার্টার্ড একাউন্টেন্টস (সিএ) ফার্ম আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী এ অধ্যায়ন করেন এবং উক্ত ফার্মের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন।

‌তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে আয়কর আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।

‌তিনি সেন্ট্রাল ল কলেজ হইতে এলএলবি পাস করেন।

‌তাঁর বসত বাড়ী ও ঢাকার বাসায় যে কেউ ডুকলেই মনে হবে বিদ্যার সাগরে এসেছে। সাজানো আছে সারি সারি আরবী, ফার্সি, উর্দু, বাংলা, ইংরেজী সাহিত্য ও আইনের অসংখ্য বই।

‌তাঁর কর্ম জীবন: তিনি ১৯৯৬ সাল হইতে অদ্যবধি বাংলাদেশের খ্যাতিমান চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস (সিএ) ফার্মের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি সন্ধ্যানী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিঃ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিঃ, পূরবী জেনারেল ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিঃ, এ্যামিকো ল্যাবরেটরীজ লিঃ, মোনা ফিন্যান্সিয়াল কন্সালট্যান্সি এন্ড সিকিউরিটিজ লিঃ, সন্ধ্যানী লাইফ হাউজিং লিঃ, সন্ধ্যানী লাইফ ফ্যাইনেন্স লিঃ, পান্না স্পিনিং মিলস লিঃ,পান্না টেক্সটাইল মিলস লিঃ, এট কর্নার লিঃ, শমরিতা হাসপাতাল লিঃ, এম এইচ শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইনকিলাব এন্টারপ্রাইজ এন্ড পাবলিকেশন্স লিঃ, কাদেরিয়া পাবলিকেশন্স এন্ড প্রোডাক্টস লিঃ শাহীদ এন্ড ব্রাদার্স লিঃ, রিভার সাইড লেদার এন্ড ফুট ওয়্যার লিঃ, নিপ্পন কই লিঃ, আরপিজি ট্রান্সমিশন লিঃ কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস লিঃ, রামধনু গার্মেন্টস লিঃ, আরাফা কর্পোরেশন, লিঃ, একতা কর্পোরেশন নিঃ, সিটাডেল ডেভলপার্স লিঃ, এসএনস প্রপার্টিস লিঃ, ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল সিকিউরিটিজ লিঃ, বি২এম লিঃ, এক্সজিউম টেকনোলজিস লিঃ, এডবক্স বাংলাদেশ লিঃ সহ শতাধিক কোম্পানীর আয়কর উপদেষ্টা ও কোম্পানী আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।

‌রাজনৈতিক জীবন: তাঁর দাদা মৌলভী সেকান্দার আলী চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের খুব কাছের ছিলেন। বাবা মাওলানা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি স্কুল জীবন হইতে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। ভোলা সরকারী কলেজে অধ্যায়ন কালে ভোলা সরকারী কলেজ সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত ইয়ানুর -যোবায়ের -রিয়াজ পরিষদের নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তখনকার বিরোধী দল (বিএনপি)’র বন্ধুজন পরিষদের নেতাকর্মীদের দ্বারা নির্যাতিত হন। তিনি নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এর সময় বোরহানউদ্দিনে যুব সমাজের অফিস ভাংচুর এর সময় হামলার শিকার হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলনে ভোলা ও ঢাকায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের এর নির্বাচনী কর্মী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা গ্রহনের পর তিনি কর্মের জন্য ঢাকা চলে যান। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকা থেকে এসে আবার আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের নির্বাচনে কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনের পর বিএনপির লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা নিগৃহীত হন। ২০০১ সাল হইতে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত বিরোধী দল বিএনপি জামাত বিরোধী আওয়ামীলীগের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখাঁন এর মেয়র নির্বাচনের প্রচারনায় অংশগ্রহন করেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রচারনায় টবগীর জনগনের ইচ্ছে ও নেতা-কর্মীদের চাপে ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ও বিপুল সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আলী আজম মুকুলের নির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে পূনরায় বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০১৬ ও ২০২০ সালে বোরহানউদ্দিন প্রেস ক্লাবের সদস্যগনের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন।

সফলতা: টবগী ইউনিয়নের দুইবারের সফল চেয়ারম্যান। টবগী ইউনিয়নের জনকল্যানে তার কৃতিত্বের কোনো কমতি নেই। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির রাস্তা-ঘাট সবখানেই রয়েছে তার বিশেষ অনুদান। বৈশ্বিক মহামারী (কোভিট ১৯) করনা কালে নিজের জীবনের ঝু্ঁকি নিয়ে জনস্বার্থে রাত বিরাতে বেড়িয়ে পড়েছেন হাঁট- বাজার, রাস্তা -ঘাট ও কর্মস্থলে সকলকে সতর্ক করা ও নিয়ম কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেয়ার জন্য। সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে সহায়তা করছেন অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে। এছাড়াও নিজের কর্মব্যস্ততার মাঝে মূল্যবান অবসর সময়টুকু পরিবারে সাথে না কাটিয়ে সুদুর ঢাকার নিজ কর্মস্থল থেকে ছুটে চলে আসে নিজ নির্বাচনী ইউনিয়নের জনগণের কাছে, জনসেবাই যেনো তাঁর নেশা। এছাড়াও রয়েছে তার অসংখ্য জনসেবা ও সৎকর্মের ইতিহাস।

সরেজমিনে চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন থেকে অত্র এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন। সবসময়ই নিজের সামর্থ্যনুযায়ী গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মহামারী করোনাকালীন জনগণের পাশে থেকে সতর্ক/সচেতন করা ও অনুদান দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সরঞ্জাম উপহার এবং তাঁর জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ছিলো দৃশ্যমান। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের জনগণ সবসময় কাছে পাওয়ার জন্য এমন একজন জনবান্ধব কামরুল আহসান চৌধুরীকে আবারও ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।

চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে আওয়ামীলীগ করি। আর আওয়ামীলীগ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। টবগী ইউনিয়নকে নিয়ে সর্বদাই উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি। ইনশাআল্লাহ এলাকাবাসী চাইলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। এলাকাবাসীর পাশে পূর্বে ছিলাম এখনও আছি ভবিষ্যতেও থাকব। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি যদি মহান আল্লাহর রহমতে আবারো নির্বাচিত হই তাহলে আমার দেয়া সকল প্রতিশ্রুতি পালন করে টবগী ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও ডিজিটাল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright: 2020 -2023 “দৈনিক আজকাল” রাজ কুঠির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
Design By Fahim Mahmud