বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও বেলা ১ টায় শিক্ষার্থীরা উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ৬ জন শিক্ষক ও ৪০ উর্ধ্ব শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষককে বরখাস্ত ও দুইজনকে অপসারণের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতের পর সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় ডেকে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী জানান যে,যিনি সিন্ডিকেট সদস্য তিনিই আবার বিচারকের ভুমিকা পালন করেছেন, তিনিই আবার সাক্ষী দিয়েছেন।এটি একটি অগণতান্ত্রিক ও নিয়ম বহির্ভূত প্রক্রিয়া।
এছাড়া মহামান্য আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে চাকুরীচ্যুত তিন শিক্ষককে স্বপদে পুনঃবহাল করবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১২ তম সভায় বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজলকে বরখাস্ত এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলমকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানি, অসদাচরণ, প্রশাসনবিরাধী কার্যক্রমসহ নানা অভিযোগে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চাকুরিচ্যুতি ও অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে এই আদেশ স্থগিতে রুলনিশি জারি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে কোন উপাচার্য নেই এবং উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব ছাড়া উপ-উপাচার্য আর কোন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাই এই মূহুর্তে সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের সুযোগ নেই।
এছাড়া উচ্চ আদালতের আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট আইনজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার আদেশ স্থগিত করে ওই তিন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের এমন নির্দেশে সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ সাধুবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
Leave a Reply