সন্তান-সন্তুতি, মা-বাবা তথা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে হবে যাকে; তিনি হলেন হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এতবেশি ভালোবাসতে হবে? এ সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনাই বা কী?
হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই এ ‘কেন ভালোবাসতে হবে’-এর উত্তর দিয়েছেন সুস্পষ্টভাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এতটা ভালোবাসার নামই ‘ঈমান’। তাতে মুমিন মুসলমানের ঈমান পরিপূর্ণতা লাভ করে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সেই আল্লাহর শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না; যতক্ষণ না আমি তার নিজের জীবনের চেয়ে, তার বাবা-মা ও সন্তানাদির চেয়ে অধিক ভালোবাসার পাত্র হই।’ (বুখারি)
‘হ্যাঁ’ পরিপূর্ণ মুমিন হতে দুনিয়ার জীবনে সবকিছুর চেয়ে বেশি প্রিয় নবিকে ভালোবাসতে হবে। তবে এমন ভালোবাসা নয় যে, মুখে মুখে এ কথা বলা- হে রাসুল! আমি তোমাকে ভালোবাসি; হে রাসুল! আমি আপনাকে ভালোবাসি।
‘না’, এমন ভালোবাসা নয়। এ ভালোবাসা হবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শকে ভালোবাসা। যার প্রথমেই রয়েছে- তাওহিদ ও রেসালাত তথা ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো উপাস্য নেই আর হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহর রাসুল’-এ কথার প্রতি মনে প্রাণে বিশ্বাস করা।